ছিল রেড জোন, আশা ছিল অরেঞ্জ জোন হবে, কিন্তু তা আর আপাতত হল না। করোনা মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুরের উদাহরণ টেনে হাওড়া জেলাকে ১৪ দিনের মধ্য়ে রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু করোনার থাবায় রেড জোন থেকে বেরোতে পারল না পূর্ব মেদিনীপুর। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা জানালেন, ''পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনেই রয়েছে। গত ১৯ তারিখ একজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, তাই রেড জোনেই থাকছে ওই জেলা। ভেবেছিলাম আমরা যে পূর্ব মেদিনীপুর অরেঞ্জ জোনে চলে আসবে''।
উল্লেখ্য়, গত সপ্তাহে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, হাওড়া খুবই স্পর্শকাতর। করোনা মোকাবিলায় হাওড়ায় উপযুক্ত ব্য়বস্থা নিতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিতে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুর যদি ১৪ দিনে রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনের পথে চলে আসতে পারে, তাহলে হাওড়া পারবে না কেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় তিন তারা-চার তারা হোটেলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার
প্রসঙ্গত, করোনার হানায় আজ যে এলাকা অরেঞ্জ জোনে রয়েছে বা গ্রিন জোনে রয়েছে, সেই এলাকা যে রেড জোনে হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য় সকলকেই সাবধানতা মেনে চলতে হবে। তাহলেই হয়তো এই ভাইরাসকে রোখা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে মুখ্য়সচিব জানিয়েছেন, ''এখনও রাজ্য়ের ৪ জেলা রেড জোন। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোন। ২৩ জেলার মধ্য়ে ৯ জেলায় কোনও সংক্রমণ মেলেনি। ওই ৯ জেলা গ্রিন জোনে রয়েছে। ১০ জেলায় অল্প সংখ্য়াক কেস মিলেছে। ওই ১০ জেলা অরেঞ্জ জোনে রয়েছে''।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে রাজ্য বাধ্য, নবান্নকে কড়া চিঠি দিল্লির
রাজীব সিনহা আরও জানিয়েছেন, ''বাংলায় করোনায় এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ১৮২ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ায় মোট ২২০টি র্যাপিড টেস্ট করা হয়েছে''।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ৩ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য়ে করোনায় মৃতের সংখ্য়া মোট ১৫। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া এখন ২৭৪। রাজ্য়ে নতুন করে আরও ২৯ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য়সচিব।
অন্য়দিকে, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন প্রসঙ্গে রাজীব সিনহা বলেছেন, ''লকডাউন প্রোটোকল মানা হচ্ছে বাংলায়। লকডাউন ভাঙায় ২৮ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্য়ে। ৩ হাজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ৩১০০-রও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সুতরাং, যা যা করার প্রয়োজন করা হচ্ছে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন