করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে জীবাণু নাশক স্প্রে করছে কলকাতা পুরসভা। আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে শহরে জীবাণু নাশকের কাজ শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে জলের সঙ্গে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে ট্রাক মাউন্টেড সুইপার ও হ্য়ান্ড মেশিন দিয়ে জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। একদিকে ম্য়ান পাওয়ার ও অন্য়দিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মহানগর পরিস্কারের কাজ চলছে।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বের সঙ্গে নাম জুড়েছে কলকাতারও। লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি। এরাজ্য়ে এখনও পর্যন্ত যাঁদের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে তাঁদের বেশিরভাগের বাস শহর কলকাতায়। মহানগর এখন আতঙ্কপুরী। শহরকে জীবানু মুক্ত ও পরিস্কার রাখতে কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে একসঙ্গে ২৫ জন ন্য়াড়া মালদায়, শপথ গৃহবন্দির
বুধবার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে দেখা গেল নতুন বড় ট্রাক প্রেসার মাউন্টেড সুইপার ও হ্য়ান্ড মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। বড় গাড়ি দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে জীবাণু নাশকের কাজ চলছে। জলের সঙ্গে মেশানো জীবাণু নাশক মেশিনের সাহায্য়ে হাসপাতাল চত্বরে ছেটানো হচ্ছে। অন্য় দিকে, ছোট হ্য়ান্ড ম্য়াশিন দিয়ে ওয়ার্ডের ভিতরে স্প্রে করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আবহে যেখানে বড় গাড়ি ঢুকতে পারবে না সেখানে নতুন ২০ টা হ্য়ান্ড মেশিন ব্য়বহার করা হবে। এদিন এই ধরনের নতুন মেশিন ব্য়বহার করা হয়েছে।
মেয়র পারিষদ(সাফাই) দেবব্রত মজুমদার বলেন, "শহর পরিস্কার ও দূষণমুক্ত করতে একদিকে সাফাই দফতরের কর্মীরা কাজ করছে। জীবাণু নাশ করতে সঙ্গে রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতিও। ২০টা মেকানিক্য়াল সুইপার আছে। আরও ৫টা নতুন এসেছে। ছোট আর এক ধরেনর মেশিন এনেছি। ছোট জায়গায় কাজ করার জন্য় ইতিমধ্য়ে ১৪টি হ্য়ান্ড মেশিন চলে এসেছে। আরও ৬টা আসবে। কাজও শুরু হয়েছে। অন্য় দিকে রাস্তায় জল দেওয়ার গাড়িও ব্য়বহার করা হচ্ছে জীবাণু নষ্ট করতে। নতুন করে কলকাতায় ৫০০ ব্য়াটারি অপারেটর গাড়িও দিনরাত কাজ করছে। এছাড়া কম্পাক্টরতো আছেই।"
কলকাতা পুরসভার সাফাই দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা নিয়মিত অফিসে আসছেন। দেবব্রতবাবুর কথায়, "কলকাতা পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্য়ানেজমেন্ট-এর কর্মীরা সকাল থেকে রাস্তায় আছেন। এর ফলে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে। মানুষ ঘরের ভিতর থাকুক। আমরা বলছি আপনাদের কোনও ভয় নেই আপনারা ঘরের বাইরে বেরবেন না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন