রাজ্যে এখনও দাপট জারি করোনাভাইরাসের। স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা বিবৃতি অনুসারে রাজ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৩ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০৫ জন। এদিকে শনিবার রাত একটা নাগাদ বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের।
এই মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কোভিড যুদ্ধে উনি যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তা অনস্বীকার্য। উনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। ওনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।"
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের ওই শীর্ষ আধিকারিকের। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ফলে তাঁকে বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভেন্টিলেশন সহায়তায় ছিলেন তিনি। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় বাংলার স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকের।
এদিকে শনিবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে ফের চিঠি দিলেন এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। বাংলার মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক না করে লিখিত জবাব দিন, এই ভাষাতেই পত্রাঘাত করেন কেন্দ্রীয় দলের প্রধান। পাশাপাশি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পিপিই এবং প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিটিতে।
অন্যদিকে সরকারি প্রকল্পের খাদ্যশস্য বন্টন এবং রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ফের তরজায় কেন্দ্র এবং রাজ্য। রাজ্যের খাদ্য সচিব পারভেজ সিদ্দিকিকে চিঠি দিয়েছেন খাদ্য ও গণবন্ঠন মন্ত্রকের ক্রেতা সুরক্ষাবিভাগের যুগ্ম সচিব এস জগন্নাথন। চিঠিতে বলা হয় যে, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলা ৭৩ হাজার মেট্রিকটন চাল পেলেও তা মানুষকে দেওয়া হয়নি। যদিও কেন্দ্রীয় এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন