/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/School-LEAD.jpg)
ইওরোপিয় দেশ, চিন, ইতালি, ইরান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান- এই দেশগুলো থেকে সদ্য ঘুরে এসেছেন, এমন ইতিহাস থাকলে এবং এর সঙ্গে বাকি উপসর্গগুলি মিলে গেলে তবেই সেই রোগীকে আইসোলেশনে রেখে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়, তখনই করোনা আক্রান্ত বলা হবে অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা দেশে। মারণ ভাইরাস থেকে সতর্কতায় এবার পশ্চিমবঙ্গেও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শনিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করল মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/corona-notice.jpg)
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতা: বিধানসভায় জারি নিষেধাজ্ঞা, বন্ধ হল একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে।
এ প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমরা সাবধানতা অবলম্বন করেছি। বড় জমায়েত এড়িয়ে চলুন। আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন’’।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কী করবেন? জানুন মমতার দাওয়াই
করোনা সন্দেহদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে বলেও এদিন জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। রাজারহাটে ক্যান্সার হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও একটা বাড়ি দেখা হচ্ছে এজন্য’’।
অন্যদিকে, করোনা সতর্কতায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আইআইটি খড়গপুরে পঠনপাঠন বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন কর্তৃপক্ষ। সোশাল মিডিয়ায় আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, ‘‘করোনা ভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠন-পাঠন বাতিল করা হচ্ছে’’। ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হচ্ছে। হস্টেলের ঘরে অনলাইন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘করোনায় কানন যেন সাবধানে থাকে’, বৈশাখীকে পরামর্শ উদ্বিগ্ন মমতার
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পঠানপাঠন বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হস্টেল।
বিদেশি পড়ুয়াদের বাদ দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বাকি পড়ুয়াদের অবিলম্বে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফের নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে।
কলকাতার সাউথ পয়েন্ট, লা মার্টিন স্কুলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জ্বর আক্রান্ত পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সর্দি-কাশি থাকলেও একই পদক্ষেপ করার জন্য অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। সংক্রমণজনিত সমস্যার পর চিকিৎসকদের ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন