বাংলায় করোনার লং-জাম্প দেখে শঙ্কিত চিকিৎসক মহল। তবে কী পুজোর আগেই আরও একটা করোনা ঢেউয়ের অপেক্ষায় বাংলায়? এই প্রশ্নটা’ই বারে বারেই উঁকি দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২৪ ঘন্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে। এদিকে কোভিড কেস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজে এবং হাসপাতালগুলিতে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। কলকাতা মেডিকেল কলেজের বেশ কয়েকজন জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর কলকাতা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের চার পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সকলকেই ইতিমধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার কোভিদের লক্ষণ থাকায় তাদের হোস্টেলে আইসলেশনে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কোভিড মহামারীর প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউকালে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মী সংক্রমিত হতেই প্রায় ভেঙে পড়েছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তাই রাজ্য সরকারের তরফে আগে ভাগেই সকল হাসপাতালগুলিতে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : <লাইটপোষ্টে ওঁত পেতে বিপদ, শহরে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু>
গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খানিক কমাতেই হাঁফ ছেড়ে বেচেঁছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষজন । বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ে। ওই দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৪৫ জন। শুক্রবার কিছুটা কমে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৫৭ তে।
চলতি বছরের শুরুতে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল। তবে কয়েক সপ্তাহেই তা রোধ করা গিয়েছিল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব হয়। বিধিনিষেধ উধাও। ফলে রাস্তাঘাটে ভিড় বেড়েছে। মাস্কস্যানিটাইজার ব্যবহার, দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠেছে।
আরও পড়ুন: <বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের পাশে রাজ্য, ভর্তি নিতে ‘চাপ’ বেসরকারি স্কুলকে>
এর ফলেও বেড়েছে সংক্রমণ মনে করছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে তাঁদের মতে যেভাবে এই সংখ্যা বাড়ছে তাতে হাজারের ঘরে সংক্রমণ পৌঁছানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কেন মানুষের এই বেপরোয়া মনোভাব? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে দেশের চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করলেও তাঁদের সাবধানবাণীকে উপেক্ষা করে একশ্রেনীর মানুষ বারবার উপেক্ষা করে চলেছে যাবতীয় করোনা প্রোটোকলকে। ফল সেই সংক্রমণ বৃদ্ধি। যা নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা।