কলকাতার নাইসেডে কোভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রথম ইঞ্জেকশনটি নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এর আগেই ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন কলকাতায় এলে তিনিই প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেই প্রস্তাব মতই এদিন করোনার টিকার প্রথম ডোজ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এদিন টিকা দেওয়া হয়েছে বিপ্লব যশ নামে এক স্বেচ্ছাসেবককেও।
ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়ে কলকাতার পুরপ্রশাসক বলেছেন, 'কলকাতায় জন্মেছি, বড় হয়েছি। কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী হয়েছি। কলকাতাবাসীর জন্য কাজ করব না- তা আবার হয় নাকি। ইঞ্জেকশন নিয়ে এখনও সুস্থই রয়েছি। শারীরির কোনও অসুবিধা নেই। ওরা আমায় নজরদারিতে রাখবেন।'
টিকার ঝুঁকি প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'ঝুঁকির আশঙ্কা সবসময়ই থাকে। ওতে অত চিন্তা করলে হবে না। আর হলেও তাতে আমার কিছু যায় আসে না। প্রাণও যদি যায়, আমার কিছু যায় আসে না। মানুষের জন্য করেছি।'
বুধবার বেলেঘাটার নাইসেডে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
তবে কোভ্যাকসিন নাকি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার একইসঙ্গে কলকাতায় ট্রায়াল হলে, তিনি কোনটি নিতেন? ফিরহাদ জানান , 'অবশ্যই কোভ্যাকসিন নিতাম। কারণ আমি ভারতীয়, ভারতীয় জিনিসই নেব। আমার দেশের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। সেজন্য আমার প্রাণ গেলেও কিছু যায় আসে না।'
শেষে দৃঢ় গলায় ফিরহাদ বলেন, 'যেদিন টিকা সফল হবে, সেদিন আমি সফল হয়েছি বলে মনে করব।'
জানা গিয়েছে, কলকাতায় কোভ্যাকসিনের এক হাজার ডোজ এসেছে। সম্ভাব্য টিকা নেওয়ার জন্য বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩৫০ জন অনলাইনে আবেদন করেছেন। সেই স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন