CPIM Brigade 2025: ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি, বদলাচ্ছে সিপিএমের কৌশল?
আগামীকাল, ২০ এপ্রিল, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সিপিএমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর এই প্রথম ব্রিগেডে বড়সড় জমায়েত করতে চলেছে বামফ্রন্ট। কৃষকসভা, সিটু এবং ক্ষেতমজুর সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই সভার মূল উদ্দেশ্য—কৃষক, শ্রমিক ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির দাবিদাওয়া তুলে ধরা এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের শক্তি জাহির করা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, আরজিকর ইস্যু কিংবা সাম্প্রতিক মুর্শিদাবাদের হিংসা—প্রতিটি ক্ষেত্রে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছে বাম শিবির। এবার সেই রাজপথের লড়াইকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই ব্রিগেড সমাবেশ।
সিপিএম সূত্রে খবর, এবারের সভায় দলের কৌশলগত রূপান্তর আনা হয়েছে । যুব সংগঠনের বদলে এবার মঞ্চের সামনের সারিতে থাকবেন কৃষক, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সিপিএম মনে করছে, এই শ্রেণিগুলিই একসময় দলের ভিত্তি ছিল। সেই সমর্থন পুনরুদ্ধার করাই এখন মূল লক্ষ্য। দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষজন এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নীতির ফলে। সিআইটিইউ-এর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, “এই সমাবেশ শুধুই রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি অধিকারের দাবিতে মানুষের একত্রিত হওয়ার মঞ্চ।”
সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে থাকবেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গতবারের যুব ব্রিগেড সম্মেলনের তুলনায় এবারের এই ব্রিগেড সভা অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক এবং কৌশলগতভাবে ভিন্ন। সিপিএম চাইছে, মাঠে-ময়দানে উপস্থিত থেকেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে সংগঠনের ভিত শক্ত করতে।