এর আগে যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন বলে মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সোমবার শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের জমি ইস্যুতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি ঘটনাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। বঙ্গের বামেরা অর্থনীতিবিদকে নিজেদের লোক হিসাবে ভেবে এসেছেন। দলীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় উঠে এসেছে, পরিস্থিতি বুঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানে যথেষ্ট বেকাদায় পড়েছে বামেরা।
রাজ্য সরকারের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়দের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, হাত-জোড় করে অনুরোধ করছি এবার একটা বার্তা দিন। রাজ্য সরকারের দেওয়া বঙ্গবিভূষণ সম্মান অনুষ্ঠান বয়কট করুন। দেশে না থাকায় পুরস্কার নিতে পারছেন বলে অমর্ত্য সেনের পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড: এ মেমোয়ার’ পুস্তকের জন্য সিপিএমের তরফে মুজফ্ফর আহমেদ ট্রাস্ট স্মৃতি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বঙ্গ রাজ্য-রাজনীতিতে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন।
আরও পড়ুন- Exclusive: অমর্ত্যর ‘প্রতীচী’তে দাঁড়িয়ে মমতার চ্যালেঞ্জ! কিন্তু অবস্থানে অনড় বিশ্বভারতীর উপাচার্য
দীর্ঘ দিন ধরেই অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের জমি নিয়ে বিশ্বভারতী জমিহরফের অভিযোগ করে আসছিল। এবার একেবারে অমর্ত্য সেনের হাতে বাড়তি জমি ফেরত চেয়ে চিঠি ধরিয়ে দেয় বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। এর ঠিক আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রশংসা করায় বামেদের অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেনের জমির কাগজ নিয়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ায় ষোলোকলা পূর্ণ হয়। পর পর দুটি ঘটনায় সিপিএমের বিড়ম্বনা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জমি বিতর্ক কি মিটবে? কী বলছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন?
এবার অমর্ত্য সেন নিয়ে কি অবস্থান নেয় বঙ্গ সিপএম নেতৃত্ব? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। অমর্ত্য সেন নিজেও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসায় তাঁর জমি নিয়ে বিতর্ক বন্ধ হবে কিনা জানা নেই। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, তবে জমি বিতর্ক বন্ধ হোক না হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে সিপিএম। বামেদের নীতিগত অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অভিজ্ঞ মহল।