বামেদের নবান্ন অভিযানে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং ও এস এন ব্যানার্জি রোডে মিছিলের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে আজ ১২ ঘন্টার বনধ ডাকল বামফ্রন্ট। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের উপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্যের প্রতিবাদে আজ রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার মিছিলও শুরু হয়েছে সকাল থেকে। যাদবপুর থেকে সকালেই সেই মিছিল এগিয়ে চলেছে। শ্যামবাজার থেকে বেরিয়েছে বামেদের মিছিল। বারাসাতেও বনধের প্রভাব রয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ধর্মতলা, হাজরা মোড়ে স্বাভাবিক যান চলাচল। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক। তবে অফিস টাইমে পরিস্থিতি কী হয় সেটাই দেখার। সিউড়ি ও রামপুরহাটে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে এখনও। বামেদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে জোটসঙ্গী কংগ্রেসও। শুক্রবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বনধ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন।
বনধের সকালের চিত্র। মোতায়েন পুলিশ বাহিনী। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
অন্যদিকে, ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বন্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত যানবাহন চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন মমতা। সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। নবান্নের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, আগামিকাল শুক্রবার সরকারি দফতরের সমস্ত আধিকারিক থেকে কর্মীকে সকলকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে বেতন কাঁটা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে।