অনুব্রত-গড় বীরভূমে তৃণমূলকে জুতো মারার নিদান দিলেন বঙ্গ সিপিএমের সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। চোর ধরো, জেল ভরো কর্মসূচিতে মিছিল করেন সিপিএম নেতা। এর পর মিছিল শেষে জেলা নেতৃত্ব একটি পথসভা আয়োজন করে। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় শাসকদলকে আক্রমণ করেন সেলিম।
সেলিম বলেছেন, "পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে জুতো মেরে তাড়াতে হবে। তৃণমূলেক যে সব নেতারা জুবে ডুবে জল খায়, তাঁদের ডুবিয়ে দিতে হবে, যাতে আর ভাসতে না পারে। ঝান্ডার ডান্ডা মোটা করতে হবে, কাস্তেতে শান দিতে হবে। যদি ভেবে থাকে কাস্তের শান ভোঁতা হয়েছে, একটু লুঠ চালাব, তাহলে আমাদের ভাইদের বলব কাস্তে ভাল করে শান দিয়ে রাখতে হবে। তাতে ধান, মান ও ইমান বাঁচবে।"
এদিকে মঙ্গলবার, কমিশন সূত্রে খবর, মার্চ-এপ্রিলেই হতে পারে রাজ্য়ের পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূল আমলে এবারেও পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়েই। তৃণমূল আমলে দু’বার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে। এই দু’বারই ভোটে শাসক দলের নেতৃত্বে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধী দলগুলি। ভোটের পাহাড়ায় ছিল রাজ্য পুলিশ। কমিশনের ইঙ্গিতের পর, ফের সেই বাতাবরণ তৈরি হবে বলে আশঙ্কায় বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন লক্ষ্য পঞ্চায়েত: জোড়াফুলকে প্যাঁচে ফেলতে মরিয়া পদ্ম, পুরোদমে শুরু ঘর গোছানো
জানুয়ারিতেই জারি হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি। বুধবার ২০টি জেলায় আসন বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ জেলার মানুষ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই আসন বিন্যাস নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। সংশোধনের কাজ চলবে আগামী ৭-১৬ তারিখ পর্যন্ত। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেতে পারে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। যা শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই।
সেলিমের সুরেই সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট মানেই ভোট লুঠের চেষ্টা। যেটা দেখেছি ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ভোট বিজেপি করেছে, অতীতে সেটাই তৃণমূল করেছিল, ফের একই ঘটনা ঘটবে।’