শুল্ক দফতরের ফাঁদে বড়সড় সোনা পাচার চক্র। মালদহের ইংরেজবাজার থেকে প্রথমে চক্রের এক পাণ্ডা গ্রেফতার হয়। তাকে জেরা করেই মেলে বাকি বেশ কয়েকজনের সন্ধান। এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন কেজি সোনার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা।
মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বড়সড় একটি সোনা পাচার চক্রের এক পাণ্ডা-সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। মালদহের ইংরেজবাজারের যদুপুর থেকে প্রথমে মহম্মদ মালিক নামে চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিন কেজি সোনা এবং নগদ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা।
বাজেয়াপ্ত হওয়া হওয়া ওই তিন কেজি সোনার বর্তমান বাজারদর প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পরে ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা করতেই আরও কয়েকজনের খোঁজ মেলে। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃত ওই চার সোনা পাচারকারীকে মালদহ আদালতে পেশ করেন তদন্তকারী ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কর্তারা।
এদিন মালদহ আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর তথা আইনজীবী সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধৃত মহম্মদ মালিকের বাড়ি ইংরেজবাজারের যদুপুরে। ধৃত অপর তিন জনের নাম পীযূষকান্তি দাস, দিলীপ দাস এবং অতুল দাস। এই তিনজনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি এলাকায়। সোনা মজুত করা হয়েছিল মহম্মদ মালিকের বাড়িতে।
আরও পড়ুন- গোপন সূত্রে মেলা খবরে অভিযান, ট্রাক থামিয়ে উদ্ধার ৭টি হাতি
এদিকে, গোপন সূত্রে শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা সোনা মজুত করার ঘটনার কথা জানতে পারেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এরপর ইংরেজবাজারের মহম্মদ মালিকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তাকে গ্রেফতারের পরে জেরা করা শুরু করেন অফিসাররা।
ধৃতের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা এবং নগদ ২২ লক্ষ টাকা বজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেও এই চক্রে যুক্ত আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া এই সোনা মালদহ থেকে হাওড়া হয়ে বাইরে কোথাও পাচারের ছক কষেছিল ধৃতরা। প্রাথমিক তদন্তে এমনই জানতে পেরেছেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা।