দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে উত্তাল, থমথমে শহর! ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, শান্তির আহ্বান প্রশাসনের

দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দু দিন আগে যে সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল, রবিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য প্রশাসন কটকের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দু দিন আগে যে সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল, রবিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য প্রশাসন কটকের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cats

ওড়িশার কটকে ফের অশান্তির বাতাবরণ।

দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে উত্তাল, থমথমে শহর! ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, শান্তির আহ্বান

Advertisment

ওড়িশার কটকে ফের অশান্তির বাতাবরণ। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দু দিন আগে যে সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল, রবিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য প্রশাসন কটকের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং বিজু জনতা দল (বিজেডি) সভাপতি নবীন পট্টনায়ক উভয়েই নাগরিকদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisment

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা থেকে দু’টো নাগাদ বিসর্জন শোভাযাত্রায় উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে  বচসার সূচনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ছাদ থেকে পাথর ও বোতল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ, এতে কয়েকজন আহত হন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কটকের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারও। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) মোটরবাইক মিছিল করে। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন কিছু দোকান ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং গৌরীশঙ্কর পার্ক এলাকায় কয়েকটি দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে।

পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কটক মিউনিসিপাল কর্পোরেশন, সিডিএ এলাকা এবং সংলগ্ন এলাকায় রবিবার সন্ধে ৭টা থেকে সোমবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। ভুয়ো খবরের প্রচার রোধ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই কৌশল বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেন, “কটকের মতো ঐতিহ্যবাহী শহরে এই ধরনের অশান্তি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়কও নাগরিকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কিছু সমাজবিরোধীরা ইচ্ছে করে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ‘এক্স’-এ লেখেন, “দুর্গা বিসর্জনের সময় কটকে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কটক শহর ওড়িশার গৌরবের প্রতীক। আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকতে হবে।”অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক সফিয়া ফিরদৌস বলেন, “আমাদের শহর ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্প্রীতির প্রতীক। যারা এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করেছে, তাদের সিসিটিভি ও ড্রোন ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বর্তমান বিজেপি সরকার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ।”

অশান্ত পরিস্থিতির পর কটকের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ফ্ল্যাগ মার্চ করে। ভুবনেশ্বর-কটক পুলিশ কমিশনার সুরেশ দেবদত্ত সিং জানিয়েছেন, “একটি সংগঠনকে বাইক র‌্যালির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবুও তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পাথরবৃষ্টিতে আটজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলপ্রয়োগ করা হয়।” এদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সোমবার, অর্থাৎ ৬ অক্টোবর, কটকে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। ফলে শহরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- লক্ষ্মী পুজোর দিনে বুক কাঁপানো দুর্ঘটনা,নামজাদা হাসপাতালের ICU তে বিধ্বংসী আগুন,ঝলসে মৃত্যু একের পর এক মুমূর্ষু রোগীর

odisha