ধেয়ে আসছে জাওয়াদ। আজ, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে খবর, বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত জাওয়াদ বিশাখাপত্তনাম থেকে দঃ ও দঃ-পশ্চিম দিকে ৪২০ কিমি এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দঃ ও দঃ-পশ্চিম দিকে রয়েছে।
জাওয়াদ ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। এগোনোর পথে এই ঘূর্ণিঝড় আরও ঘণীভূত হবে। আগামিকাল, অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর জাওয়াদ উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা বাঁক নেবে। পরে তা ওড়িশা উপকূল বরাবর এগোবে। ৫ ডিসেম্বর পুরী উপকূলে জাওয়াদের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এরপর জাওয়াদ ক্রমশ উত্তরমুখী হয়ে পৌঁছবে বাংলায়। তবে, সমুদ্র বরাবর, নাকি স্থলভাগ দিয়ে এটি এগোবে তা নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী তিনদিন রাজ্যের উপকূলীয় সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
এ দিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপমহা-নির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় জাওয়াদের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১১০ কিমি। জাওয়াদের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হবে। আগামিকাল, ৪ ডিসেম্বর দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিকেলের পর ৫৫-৬০ কিমি প্রতি ঘন্টায় হাওয়া বইবে।
৫ ডিসেম্বর বৃষ্টি বাড়বে। সকাল থেকে উপকূলীয় পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টিপাত হবে। ঘন্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বাইবে। এই পরিস্থিতি প্রায় ১২ ঘন্টা বজায় থাকবে। পরদিন ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
আগামি তিনদিন মৎসজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হতে পারে বলে আগাম জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়া পর্যটনস্থলগুলিকেও ফাঁকা রাখার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগামী ৬ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আরও পড়ুন- ‘জাওয়াদ’ মোকাবিলায় সতর্কতা, একাধিক ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার
আরও পড়ুন- আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী ‘জাওয়াদ’, অন্ধ্র-ওড়িশায় কমলা সতর্কতা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন