ঘূর্ণিঝড় হচ্ছেই। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি দেখে এমনই মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আরও একটু ঘনীভূত হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ ১০ মে সেই গভীর নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' তৈরি হলে তার অভিমুখ কোন দিকে হবে? এবিষয়ে কী বললেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়? ঘূর্ণিঝড় শঙ্কার আবহে রাজ্যের শহর থেকে জেলায় ফের একবার চাঁদিফাটা রোদে জ্বলেপুড়ে খাক হচ্ছে বাংলা। গরমের এই হাঁসফাঁস নিয়েও মিলল বড়সড় আপডেট।
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়েছে। সম্ভবত আগামিকাল অর্থাৎ ১০ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গতকালের নিম্মচাপ আরও একটু ঘনীভূত হয়েছে। ১০ তারিখ সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে সেটির অভিমুখ হতে পারে।"
আরও পড়ুন- হিমালয়ের কোলের এগ্রাম যেন ক্যালেন্ডারের ছবি! গেলেই বাঁধা পড়বে মন!
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মাত্রাতিরিক্ত গরমে ফিরেছে হাঁসফাঁস দশা। একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তারও বেশি। এই তাপমাত্রা কি আরও বাড়বে? এবিষয়ে এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বলেন, "১০ তারিখ তাপমাত্রা বাড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আগামিকাল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে আগামি ১২ মে ও ১৩ মে রাজ্যের উপকূলবর্তী তিন জেলা অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।"
আরও পড়ুন- গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে বাংলাদেশি ‘ছিনতাইবাজ’, ব্লেড বসিয়ে ব্যাগ কাটতেই…
এরই পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ, আগামিকাল ও পরশু অর্থাৎ ১১ মে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।