Cyclone-Sundarban: সাগর ও সুন্দরবন এলাকার দিকে ধেয়ে আসছে রাক্ষুসে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। কখনও আয়লা, যশ, আমফান নানা ঝড়ে তছনছ হয়েছে সুন্দরবন এলাকাকে। বারেবার লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে এই এলাকা। ফের আতঙ্ক গ্রাস করেছে সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের। উপকূলীয় বাসিন্দারা একাধিকবার উচ্ছেদ হয়ে যান নিজভূমি থেকে। ক্লাইমেট রিফিউজির সংখ্যা যেন ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়তেই থাকে। নষ্ট হয়ে যায় কৃষি জমি। কিন্তু এই এলাকা রক্ষা করার উপায় কী? কীভাবে আটকানো যেতে পারে এই ধ্বংসলীলা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এব্যাপারে বেশ কিছু ব্যাখ্যা দিলেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী।
স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "উপকূলীয় অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ একটা বিশাল বড় প্রাকৃতিক অবদান। সুন্দরবন এলাকায় ম্যানগ্রোভ দিয়ে এতগুলো ঘূর্ণিঝড়কে পর পর আটকে দেওয়া গিয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ম্যানগ্রোভ বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ম্যানগ্রোভকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। উপকূলবর্তী মানুষ ক্লাইমেট রিফিউজি হয়ে যাচ্ছে। তাঁর একমাত্র কারণ কোস্টাল ইকো সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না। বিভিন্ন কারণে নগরায়ণ। কৃষিজমিতে নগরায়ণ করছি। এর বিরাট প্রভাব পড়ছে কোস্টাল ইকো সিস্টেমের ওপর।"
আরও পড়ুন- Cyclone Remal News: আয়লা, আমফান, ইয়াস আর এবার রেমাল, বার বার কেন মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে?
সুন্দরবনের নানা অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ কেটে মাছের ভেড়ি করা হচ্ছে। এমন ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ উঠছে। এই প্রসঙ্গে স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "ভেড়িগুলিতে মাছের চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ম্যানগ্রোভ কেটে এমন উদ্যোগ নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। নোনা জল ঢুকে গিয়ে জমিরও ক্ষতি করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক দ্বীপ মিলিয়ে যাচ্ছে। পাথরপ্রতিমা ব্লকের বহু জায়গা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র ম্যানগ্রোভ বাঁচিয়ে রাখলেই এইসব দ্বীপ রক্ষা করা সম্ভব।"
উপকূল এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্লাইমেট রিফিউজি তৈরি হচ্ছে। এমন ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাঁদের বাসস্থান ছেড়ে। এটা আমাদের কাছে সাংঘাতিক ভাবে ক্লাইমেট রিফিউজি তৈরি করছে। অবিলম্বে সরকারকে নীতি প্রনয়ণ করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টও কিন্তু বলেছে জলবায়ুর গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচানো মৌলিক অধিকার। দেশের বা রাজ্যের নীতি প্রনয়ণকারীদের সেটার ওপর জোর দিতে হবে।"