হাজরায় ডিএ আন্দোলনকারীদের সভায় যোগ দিয়ে বড় দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে তিন দিনে ডেট চলে আসে। আর ডিএ মামলা ডিসেম্বর থেকে জুলাইতে চলে যায়। এইসব পিছনের খেলা আমরা জানি।'
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রীম যৌথ মঞ্চ। এদিন শততম দিন হওয়ায় হাজরা থেরে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে মিছিলের পর ফের হাজরাতেই সভা হয় মঞ্চের তরফে। সেখানেই যোগ দেন বিরোধী দলনেতা সহ অন্যান্য একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব।
পাশাপাশি বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আইনি লড়াইও চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলা ঝুলে রয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মামলার দিন পিছিয়েছে। বর্তমানে বলা হয়েছে আগামী জুলাই মাসে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি। এই প্রেক্ষাপটে 'পিছনের খেলা আমরা জানি' মন্তব্য বেশ তাৎপর্যবাহী।
আরও পড়ুন- হঠাৎ মমতার রেল সফরে কেন এত রাগ শুভেন্দুর? তুলকালাম নালিশে রেলমন্ত্রীকে চিঠি
২০২২ সালের পুজোর পর শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছিলেন, ডিসেম্বরের তিনটি দিন এমন এমন ঘটনা ঘটবে যাতে তৃণমূলের সরকারের পতন নিশ্চিৎ হতে পারে। সেই তিন দিনগুলো ছিল ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর। এর মধ্যে একটি দিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি। বিরোধী দলনেতা সম্ভবত আশা করেছিলেন ডিসেম্বরেই সুপ্রিম কোর্ট এরাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে তার পর থেকে শীর্ষ আদালতে বারংবার পিছোচ্ছে ডিএ মামলামামলার শুনানি। যা নেপথ্যের কারণ বাতলে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু।
ডিএ-র দাবিতে অনশন করেছেন সরকারি কর্মীরা। ফলে এঁদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কথা তুলে ধরে আন্দোলনকারীদের বিরোধী দলনেতার বার্তা, 'আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু আপনারা অনশন করবেন না। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, পুত্র আছেন। শরীরটা ঠিক রাখতে হবে।'