Advertisment

দাড়িভিট স্কুল খুলবে আজ, স্কুল-মাঠে প্রতীকি অনশনে বসবেন দুই নিহতের পরিবার

২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে। গুলিতে মৃত্যু হয় স্থানীয় দুই যুবকের। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে ইসলামপুরের ওই স্কুল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
daribhit school

অবশেষে খুলতে চলেছে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল।

অবশেষে খুলতে চলেছে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বন্ধ রয়েছে ইসলামপুরের ওই স্কুল। দাড়িভিট হাই স্কুল খোলার ব্যাপারে এবার উদ্যোগ নিচ্ছেন সেপ্টেম্বর মাসের হিংসায় নিহত দুই যুবকের পরিবার। স্কুলের গেটে দেওয়া তালা তাঁরা খুলে দেবেন আজ, ১০ নভেম্বর। তবে ওই দিন থেকে দুই পরিবারই স্কুলের সামনের মাঠে প্রতীকি অনশন শুরু করবেন। তাঁদের দাবি, দুই যুবকের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি।

Advertisment

২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ কেন্দ্র করে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার নামে ওই দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করে আসছেন দুই পরিবার। রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও তা মানতে চান না তাঁরা। এদিকে দেড় মাসের ওপর বন্ধ রয়েছে দাড়িভিট হাইস্কুল। সরকারি স্তরে বৈঠক করেও কোনও কাজ হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে আলোর রোশনাই, উৎসবে অন্ধকার দাড়িভিটে

তাপসের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, "আমরাও চাই স্কুল খুলে যাক। কিন্তু যারা দোষ করল তারা কেন সাজা পাবে না? তাই আমরা স্কুলের সামনের মাঠে শনিবার থেকে প্রতীকি অনশন করব। সিবিআই তদন্তই চাই।" সিআইডি কি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে? তিনি বলেন, "সিআইডি চিঠি দিয়ে আমাদের ৫ নভেম্বর থানায় যেতে বলেছিল। কিন্তু আমরা কেন থানায় যাব? প্রয়োজনে তারা এখানে আসবে। তাছাড়া সিআইডির ওপর কোনও ভরসা নেই আমাদের।" রাজেশের ভাই সুজিতের স্কুল খোলাতে কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু তিনিও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়।

অন্যদিকে গ্রামবাসী পবন সরকার বলেন, "দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১০ নভেম্বর স্কুলের গেটের তালা খুলে দেবে। ওই দিন থেকে স্কুল চালু হবে। কিন্তু আমরা গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবির সঙ্গে একমত। আমরাও চাই দোষীদের শাস্তি হোক। শনিবার স্কুলের মাঠে যে মঞ্চ হবে, সেখানে আমরাও হাজির থাকবো।" বুধবার দাড়িভিট স্কুলের শিক্ষকদের একটি দল নিহত দুই যুবকের বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্তের আশায় ওই দুই যুবকের দেহ এখনও দাহ করা হয় নি। গ্রামের পাশে চঞ্চলা নদীর তীরে কবরে শায়িত রয়েছেন তাপস এবং রাজেশ। দেহ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় বা সিবিআই তদন্তের আশায় মৃতদেহ কবরে রাখার ঘটনা এই দেশে সম্ভবত নজিরবিহীন।

west bengal politics
Advertisment