Darjeeling Lok-Sabha Constituency 2024: গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে সিপিএম ও কংগ্রেস যৌথ ভাবে মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিল। সেই মিছিলে গুলি ও বোমায় হামলার জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠছিল। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে। এবার চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান ভোটের মুখে বড়সড় হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নজরে। এই চোপড়াতেই আগামিকাল নির্বাচন। দার্জিলিং লোকসভার এক মাত্র এই বিধানসভা এলাকায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লীড পেয়ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল কোচবিহার লোকসভার কিছু এলাকা। আগামিকাল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। দার্জিলিংয়ে বিজেপি বিধায়কের প্রার্থী হওয়া, কংগ্রেস নেতাদের বিজেপিকে সমর্থন, বিনয় তামাংকে কংগ্রেসের সাসপেন্ড, এমন নানা ঘটনা ঘটেছে। তবে পাহাড় বা শিলিগুড়িতে লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত তেমন অশান্তি দেখা যায় না। কিন্তু চোপড়ার ভোট নিয়ে সংশয় দেখছে অভিজ্ঞ মহল। একা চোপড়া দার্জিলিং লোকসভার খেলা ঘোরাতে হয় তো পারবে না, কিন্তু তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ এই বিধানসভা এলাকা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে একমাত্র চোপড়া বিধানসভা থেকে লীড পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। বাকি দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি ও ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্র থেকে লীড পেয়েছিল বিজেপি। ফলত বিপুল ভোটে জয় হাসিল করেছিল বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। গত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিধানসভা এলাকা থেকে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই ৯৪,২৯৮ ভোট ও বিজেপির রাজু বিস্তা ৪৯,৫২১ ভোট পেয়েছিলেন। ব্যবধান ছিল ৪৪,৭৭৭ ভোটের। এবারও এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের লীড বাড়বে, নাকি বিজেপি লীড কমাতে পারবে সেটাই এখন দেখার। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চোপড়া একমাত্র তৃণমূলের কিছুটা মুখ রক্ষা করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে চোপড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান ৬২.২২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছিলেন। তার আগে ২০১৬-তে হামিদুল ভোট পেয়েছিলেন ৪১.৮১ শতাংশ। এবার হামিদুল সভা মঞ্চ থেকে হুমকি দেওয়ায় বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি হুংকার ছেড়েছেন, ২৬ এপ্রিলের পর তো আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। তাঁদের কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তখন আর অভিযোগ করে লাভ হবে না। এই নিয়ে তোলপাড় রাজনীতি। তাহলে আগামিকাল চোপড়ার নির্বাচনের দিকে বিশেষ নজর দেবে নির্বাচন কমিশন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।