টয়ট্রেন। সে জনপ্রিয় সিনেমার গানের দৃশ্যায়নই হোক কিংবা ঔপনিবেশিকতার প্রাচীন দাগ, আপামোর বাঙালির শৈল শিহরণের সঙ্গে সমার্থক হয়ে গিয়েছে ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে চলা কু ঝিক ঝিক। কিন্তু, এবার সেই দার্জিলিঙের টয়ট্রেনের কপালে সিঁদুরে মেঘ। ১৪০ বছরের পুরানো এই গণপরিবহনের মুকুট থেকে এবার খসতে পারে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে'র পালক। কারণ, দার্জিলিঙের টয়ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে অসন্তুষ্ট ইউনেস্কো। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে গত সপ্তাহে আজারবাইজানে ইউনেস্কোর বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে, দার্জিলঙের টয়ট্রেন আদৌ বর্তমানে 'বিশ্ব হেরিটেজ' তকমার যোগ্য কি না তা এখানে এসে চর্মচক্ষে খতিয়ে দেখবে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল।
ভারতীয় রেলের তরফে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্তুষ্ট নয় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো। তাই টয় ট্রেন সংরক্ষণের কাজ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে তারা। এর আগেও একাধিকবার দেশের ঐতিহ্য রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হচ্ছে না, এই মর্মে ভারতীয় সতর্ক করেছিল ইউনেস্কো। ফের একবার ভারতীয় রেলকে সতর্ক করে দেওয়া হল আজারবাইজানের বার্ষিক বৈঠকে।
আরও পড়ুন- ‘খেলা অনেক বাকি’, অভিষেককে চ্যালেঞ্জ মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর
অতীতে বিভিন্ন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ না হওয়ার খবর পেলেই ইউনেস্কোর তরফে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে। হেরিটেজ তকমা কেড়ে নেওয়াও বেনজির নয়। বরং, তা এই প্রতিষ্ঠানের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। ফলে, টয়ট্রেনের আগামী পথ মোটের উপর কণ্টকাকীর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- ‘মুকুল রায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন’, তীর্যক মন্তব্য অভিষেকের
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির অভিযোগ, ২০১৭ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে টয় ট্রেন লাইনে বর্জ্য ফেলা, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি সংক্রান্ত কোনও তথ্যই কমিটিকে দেয়নি ভারতীয় রেল। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, হেরিটেজ তকমা ধরে রাখার জন্য সমস্ত নিয়ম মেনে আসা হয়েছে এতদিন।
Read the full story in English