পাহাড়ে জিএনএলএফ নেতাকে খুনের অভিযোগ। কালিম্পংয়ে জিএনএলএফ নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর রোশন লামাকে ফিল্মি কায়দায় খাদে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। পেডংয়ে ফেরার সময় রামধুরার কাছে রোশন লামার গাড়ির সঙ্গে একটি বাইকের সংঘর্ষ হয়। তাতে বাইক আরোহীর সঙ্গে জিএনএলএফ নেতার বচসা শুরু হয়ে যায়, হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় ধাক্কা মেরে রোশন লামাকে খাদে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর জিএনএলএফ নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জিএনএলএফ বিজেপির জোটসঙ্গী। পাহাড়ে তাদের একজন বিধায়কও রয়েছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
এদিকে, ময়নার বাকচায় বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল। অভিযোগ, গতকাল সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে এর পর বাইকে চাপিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ মেলে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন মোদীর রাজ্যে কাজে গিয়েছিল বাংলার কিশোর, জাতীয় সড়কের ধারে প্লাস্টিকে মোড়া দেহ উদ্ধার
রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দিন্দার অভিযোগ, খুনের পিছনে ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের হাত রয়েছে। পাল্টা তৃণমূল নেতার দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।"