Pathatpratima Fire Cracker Factory Blast : বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে আট, পুলিশের ভূমিকায় বিরাট প্রশ্ন

Death toll Pathatpratima Fire Cracker Factory Blast পশ্চিমবঙ্গ : রাজ্যে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। আর তারই জেরেই মৃত্যু হল একই পরিবারের আটজনের। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে হাসপাতালে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলার আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে।

Death toll Pathatpratima Fire Cracker Factory Blast পশ্চিমবঙ্গ : রাজ্যে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। আর তারই জেরেই মৃত্যু হল একই পরিবারের আটজনের। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে হাসপাতালে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলার আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pathatpratima Fire Cracker Factory Blast Updates:

বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে আট, পুলিশের ভূমিকায় বিরাট প্রশ্ন

Pathatpratima Fire Cracker Factory Blast : রাজ্যে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। আর তারই জেরেই মৃত্যু হল একই পরিবারের আটজনের। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে হাসপাতালে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলার আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আজ বিস্ফোরণ স্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। 

Advertisment

পাথর প্রতিমার ঢোলাহাটে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল তিন শিশু সহ মোট আট জনের। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে মজুত করা বাজিতে আগুন ধরে যায় যার জেরেই প্রবল বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা বাড়িটি। এদিকে পাথর প্রতিমায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসক-বিরোধী চর্চা তুঙ্গে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,বাসন্তী পুজোর জন্য একটি ঘরে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে নটা নাগাদ হঠাৎই বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরই পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখানেই ঝলসে মৃত্যু হয় তিন শিশু সহ ৮ জনের। এবিষয়ে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা বলেন, বাজি তৈরি করার সময় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুরো বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। সাত  কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার এই বাড়িতে বাজি তৈরি ও মজুত রাখা হত'। বিধায়কের দাবি বৈধ লাইসেন্স ছিল কারখানাটির। যদিও সেই দাবি মানেনি এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি বারে বারে আপত্তি জানানো হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পুলিশ-প্রশাসন। 

চিন সফরে গিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা, ফের একবার 'পর্দা ফাঁস' ইউনূসের

Advertisment

এদিকে গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই ফের আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা। ভূপতিনগর, এগ্রা, বজবজ, কল্যাণী... তালিকাটা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। রাজ্যের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আরও কত দুর্ঘটনা ঘটবে? আগামীকালই সম্ভবত নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হবে। মানুষ আজকের এই ঘটনাটি ভুলেযাবে যতক্ষণ না পরবর্তী দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলায় কেন বারে বারে এই একই ধরণের ঘটনা ঘটছে তার কোন জবাব নেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে।  বারে বারে একই ঘটনার জন্য 'অদক্ষ পুলিশ মন্ত্রী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ি"।

অপর দিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তৃণমূলকে দুষে লিখেছেন, "আরেকটি মারাত্মক বিস্ফোরণ! ডায়মন্ড হারবারে আরেকটি বিপর্যয়! ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী!দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট এলাকায় একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে,এই  সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (স্থানীয় সূত্র অনুসারে)। কিন্তু এটা কি আসলেই কেবল একটি আতশবাজি কারখানা? নাকি আরও একটি নাকি তৃণমূল সমর্থিত বোমা তৈরির আস্তানা? পুলিশ কেন নীরব? মমতা সরকারের 'চটি চাটারা' কেন সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে? তৃণমূল সরকারের মদতে  কেন অবৈধ বোমা কারখানাগুলির এত রমরমা?একদিকে,  তুষ্টির রাজনীতি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ভারতের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অন্যদিকে, বাংলা অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকে ভরে যাচ্ছে, সবই শাসক দলের আশ্রয়ে। এই "মৃত্যুর খেলা" অবশ্যই শেষ হতে হবে! বাংলার সন্ত্রাস ও রক্তপাত নয়, আইনের শাসন ফেরাতে হবে। মমতা ব্যানার্জি আর কতদিন সাধারণ মানুষের চেয়ে অপরাধীদের সুরক্ষা প্রদান করবেন? বাংলা জেগে ওঠার আগে আর কত নিরীহ মানুষের জীবন এভাবে চলে যাবে"? 

Blast in illegal Fire Cracker Factory