Ghatal Master Plan: এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে জলসম্পদ ভবনে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। সেই মবৈঠকের পর তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব বলেন, 'সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন। ৫ বছরের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ। মানুষের সহযোগিতা পেলে ৩ বছরেও শেষ হতে পারে।'
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গ এর আগেও সংসদে বহুবার তুলেছেন দেব। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও এই মাস্টারপ্ল্যানের কথা উঠে আসে। কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজ না করলে রাজ্য সরকারই উদ্যোগ নেবে বলে প্রচার হয়। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে কাজ শুরু করার কথা জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা বারাকপুরের তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও ঘাটালের সাংসদ দেব। মন্ত্রী বলেন, 'সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে যাবে।'
সোমবার দুপুরে সল্টলেকে জলসম্পদ ভবনে সেচ দফতরে বৈঠক করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী। বৈঠকে দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন। আগে কথা হয়েছিল বলেই দেবের সঙ্গে বৈঠক করে নিলেন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে দেব বলেন, 'ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সম্পূর্ণ করতে সব থেকে আগে দরকার ঘাটালের মানুষের সহযোগিতা। জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। খাল কাটতে হবে। খালগুলো চওড়া করতে হবে। বহু জায়গায় জেসিপি মেশিন ঢুকতে পারবে না। বাজার বসে গিয়েছে। কোথাও আবার নির্মাণ হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। দুটো পাম্পিং স্টেশন হবে। দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই ঘাটাল যাবেন।' দেব জানিয়েছেন, আগামী ৫-৬ মাস ফিল্ডওয়ার্ক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে মূল কাজ শুরু করা যাবে।
আরও পড়ুন- ভোটের গুরুদায়িত্ব শেষ, এবার রাজনীতি থেকে ‘ছুটি’ নিচ্ছেন অভিষেক, কিন্তু কেন?
কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য? সেচমন্ত্রী অবশ্য সেই জবাব দিতে পারেননি। পার্থ ভৌমিক বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বারবার অনুরোধ করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালের মানুষকে কথা দিয়েছেন। রাজ্য সরকারই উদ্যোগ নিচ্ছে। সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।'