বাবুল সুপ্রিয়ের চুলির মুঠি ধরে টেনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল সংস্কৃত কলেজের ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুলকে নিগ্রহে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে এবার মারধরের অভিযোগ উঠেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। বর্ধমানে রাতের অন্ধকারে তাঁর উপর ‘হামলা’র ঘটনায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে মুখ খুললেন দেবাঞ্জন। পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষের সুরে দেবাঞ্জনের মন্তব্য, ‘‘উনি (বাবুল) ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন’’।
ঠিক কী বলেছেন দেবাঞ্জন?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে বলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবাঞ্জন। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সংস্কৃত কলেজের ভাষা বিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। একজনকে চিনতে পেরেছি। শ্যামল বলে একজন বিজেপি নেতা ছিলেন। উনি আবার হুমকিও দিয়েছেন, বলেছেন, বেশ করেছে মেরেছে। কলকাতায় যাওয়ার জন্য সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম। একজন হঠাৎ করে এসে বলেন, আমার থেকে নাকি তিনি টাকা পান। অথচ তাঁকে চিনিই না। মিথ্যা অপবাদে মারধর করা হয়। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় আমরা মধ্যরাতে কলকাতায় ফিরি’’।
আরও পড়ুন: ‘আক্রান্ত’ বাবুলের ‘আক্রমণকারী’, অভিযুক্ত এবিভিপি
এ প্রসঙ্গে বর্ধমান টাউন স্কুলের ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘আমায় গণপিটুনি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার সামনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রশ্ন করেছিলাম। ওঁদের তরফ থেকেই প্রথম আক্রমণ আসে। আমরা প্রতিহত করেছি মাত্র। এবারও ওঁরাই আক্রমণ করলেন। আমি মোটেও ভীত নই। বরং ওরাই ভয় পেয়েছে। আমার সঙ্গে যা হচ্ছে, দেশে বাকি অনেকের সঙ্গেও এমনটা করা হচ্ছে। বর্ধমানবাসীর কাছে আবেদন, সব জায়গায় গেরুয়াবাহিনী যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়া দরকার’’।
অন্যদিকে, বাবুলেক নিগ্রহের অভিযোগের পরই একটি ভিডিও বার্তায় ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে শোনা যায় দেবাঞ্জনের মাকে। সেই ভিডিও প্রসঙ্গে দেবাঞ্জনের বিস্ফোরক দাবি, ‘‘মায়ের ক্যান্সার নিরাময় হয়েছে। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আমার কাছে খবর রয়েছে, এবিভিপির লোকেরা সাংবাদিক সেজে এসে ওই ভিডিও তুলেছে’’।