Mamata Banerjee vs Delhi Police: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নস্যাৎ দিল্লি পুলিশের। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দিল্লি পুলিশের ইমেজ খারাপ করতেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে বলে দাবি করল দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে মালদার এক মা ও শিশুকে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানালেন পূর্ব দিল্লির ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া।
ভিন রাজ্যে বিশেষ করে BJP শাসিত রাজ্যগুলিতে গত কয়েক সপ্তাহে বাঙালিদের ওপর নির্যাতন-হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বারবার। বাঙালি হেনস্থার অভিযোগে বীরভূমে গতকাল পদযাত্রা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। দিল্লি পুলিশ মালদার এক শিশু ও তার মাকে বাঙালি বলে অত্যাচার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিও-টি পোস্ট করে দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে স্পষ্ট করেছেন পূর্ব দিল্লির ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন যে দিল্লি পুলিশ একজন বাংলাভাষী মহিলা ও তার শিশুকে হেনস্থা করেছে। আমরা এই খবর পেতেই খোঁজ শুরু করি। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, যার কথা বলা হচ্ছে তাঁর নাম সাঞ্জিনু পরভান, তাঁর স্বামীর নাম মোক্তার খান। এরা মজবুর নগর পশ্চিম বিনোদ নগরে থাকেন। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ২৬ তারিখ রাতে এদের বাড়িতে সাদা পোশাকে ৪ জন যায় ও এদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধর কার হয় ও এদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়, যেটা ওরা পরে ওদের দিয়ে দেয়।"
আরও পড়ুন- West Bengal News live Updates:পুন্যার্থীদের বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, দেওঘরে বিরাট দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল, হাহাকার!
তিনি আরও বলেন, "আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করে জানতে পারি, এই গোটা কাহিনী ছিল সাজানো, যার কোনও ভিত্তিই নেই। ওই মহিলা ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওরা জানায়, গত ২৭ তারিখ ওই মহিলা নিজের বাড়ি থেকে বেরোয়। সঙ্গে দুটো বাচ্চাও ছিল। CCTV ফুটেজে দেখা গেছে, ওই মহিলা একটি বাড়ির কাছে গিয়ে দাঁড়ান। সেই বাড়িমালিক মহিলার কাছে জানতে চান যে তাঁর বাড়ি কোথায়। উত্তরে মহিলা জানান, যে তিনি বাড়ির ঠিকানা ভুলে গেছেন। ওই ব্যক্তি মোবাইলে ফোন করে মহিলার স্বামীকে ডেকে পাঠান। তারপর মহিলা সেখান থেকে চলে যান।"
আরও পড়ুন- Bank Holidays:সামনের অগাস্ট মাসে ১৫ দিন ব্যাংক বন্ধ, সমস্যা এড়াতে আগেভাগে জানুন ছুটির তালিকা
ওই পুলিশকর্তার কথায়, "পরে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওর এক আত্মীয় পশ্চিমবঙ্গের মালদায় জেলায় থাকে, তার রাজনৈতিক একটি পরিচয় রয়েছে। ওই ব্যক্তির কথাতেই এমন ভিত্তিহীন ভিডিও বানায় মহিলা। সেই ভিডিও কাকার মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। পরে সেটি ভাইরাল হয়েছে। এই গোটা ঘটনাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। জেনে বুঝে দিল্লি পুলিশের ইমেজ খারাপ করতেই এই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে।"