Advertisment

Hawker Eviction: নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধের আকুতি আরও তীব্র! পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার

Hawker Eviction-West Bengal: কোথাও নোটিস দেওয়ালে বা পাশের লাইট পোস্টে লটকে দেওয়া হয়েছে, কোনও কোনও পুরসভায় তো নোটিসই দেওয়া হয়নি। কৃষ্ণনগর, বোলপুর শহরে নোটিশ না দিয়েই উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সর্বত্র মাইকে প্রচার করে ‘নিজের দোকান নিজে ভেঙে দাও নাহলে পুরসভা থেকে ভেঙে ফেলা হবে’ এই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

author-image
Joyprakash Das
New Update
Demands for an end to arbitrary evictions of hawkers, হকার উচ্ছেদ

Hawker Eviction: নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি।

Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদ (Hawker Eviction) নিয়ে কলকাতা সহ সারা বাংলা তোলপাড়। চলেছে বুলডোজার ও জেসিবি অভিযান। রাজ্যের মোট ১২টি মিউনিসিপ্যালিটি ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশানে যৌথ তথ্যানুসন্ধান ও সমীক্ষা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, রাইট টু ফুড এণ্ড ওয়ার্ক ক্যাম্পেইন-সহ পাঁচটি সংগঠন। তাঁরা কথা বলেছে হকার, সাধারণ মানুষ, হকার ইউনিয়নের নেতৃত্বর সঙ্গে। রাজ্যে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, রাইট টু ফুড এণ্ড ওয়ার্ক ক্যাম্পেইন, অসংগঠিত ক্ষেত্র শ্রমিক সংগ্রামী মঞ্চ, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টি ও আমরা এক সচেতন প্রয়াস। এই পাঁচটি সংস্থার প্রধান দাবি, অবিলম্বে হকার উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদের যাবতীয় পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।

Advertisment

যৌথ উদ্যোগে এই অনুসন্ধানে একধিক তথ্য উঠে এসেছে। তাঁরা জানিয়েছে, উচ্ছেদের নোটিসও ঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি। কোথাও নোটিস দেওয়ালে বা পাশের লাইট পোস্টে লটকে দেওয়া হয়েছে, কোনও কোনও পুরসভায় তো নোটিসই দেওয়া হয়নি। কৃষ্ণনগর, বোলপুর শহরে নোটিশ না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সর্বত্র মাইকে প্রচার করে ‘নিজের দোকান নিজে ভেঙে দাও নাহলে পুরসভা থেকে ভেঙে ফেলা হবে’ এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনগুলির বক্তব্য, ‘বুলডোজার রাজ’ চলে ২৬ জুনের পর থেকে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর ১ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখার ঘোষণা সত্ত্বেও। উচ্ছেদকে বাস্তবায়িত এবং ত্বরান্বিত করেছে অতিরিক্ত শাসকদল নির্ভরতা।

আরও পড়ুন- Hawker Eviction: উচ্ছেদ-আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে! সীমাহীন উদ্বেগে গড়িয়াহাটের হকাররা

তাঁদের দাবি, উচ্ছেদ পর্বে কাউকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। বহু হকার বাধ্য হয়ে হকিং স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র ফিরে গিয়েছে। এই সংগঠনগুলির বক্তব্য, হকারদের উচ্ছেদ করে কোথাও কার পার্কিং কোথাও বা সৌন্দর্যায়নের কাজ উচ্ছেদের পরেপরেই শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ পর্বে বুলডোজার বা জেসিবি ব্যবহার হয় রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান, দুর্গাপুর, ইংরেজবাজার সহ আরও শহরে।

আরও পড়ুন- Hawker Eviction: হকার-জব্দে কোমর বেঁধে ময়দানে পুলিশ, চরম উৎকণ্ঠায় চাঁদনি চকের দোকানিরা

পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি সহ পাঁচটি সংগঠনের প্রধান দাবি, হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। রাস্তার বিক্রেতা বা স্ট্রিট ভেন্ডার (প্রটেকশন অফ লিভলিহুড অ্যান্ড রেগুলেশন অফ স্ট্রিট ভেন্ডিং) অ্যাক্ট, ২০১৪ বলবৎ করতে হবে। উচ্ছেদ করা সব হকারদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আইনের পরিপন্থী ও শহর সৌন্দর্যায়নের পরিপন্থী এই অজুহাতে হকার উচ্ছেদ চলবে না। শহর সৌন্দর্যায়নের জন্য হকারদের জীবিকায় আঘাত চলবে না। প্রয়োজনে হকারদের জীবিকার সুরক্ষার জন্য নতুন আইন আনতে হবে। হকার সহ অন্য নাগরিকদের জীবিকার গ্যারান্টি প্রদানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।

Mamata Banerjee Hawker Eviction West Bengal Hawkers
Advertisment