এবারই প্রথম রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ২০২২ সালের টেটের ফল প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার মোট ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী ছিল টেটে। বর্ধমানের ইনা সিংহ প্রথম হওয়ায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার ঝলকানি ছিল তাঁকে ঘিরে। টেট পাশ করলেও এতে উচ্ছ্বাসের কিছু দেখছে না আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মতে, টেট পরীক্ষায় রয়েছে মাত্র ৫, সর্বোচ্চ ইনা তাতে পেয়েছে ৪.৫। আর বাকি ৪৫-এর মধ্যে ইন্টারভিউতে আছে ১০।
Advertisment
২০১৪-এর টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ীতে ধরনায় বসেছিলেন। আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারাকে হাতিয়ার করে পুলিশ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে তুলে আন্দোলন তুলে দেয়। সেই আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন মোমিতা ঘোষ। তিনি বলেন, 'টেট পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী ৫ নম্বরে পেয়েছেন ৪.৫। তার মানে এই নয় যে উনি চাকরি পেয়ে গেলেন। মাত্র দেড় লক্ষ প্রার্থী পাশ করেছে। এত উচ্ছ্বাস দেখানোর কিছু নেই। এটা কি মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট? চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা কোথায়?'
নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নম্বর ৫০। তার মধ্যে টেটে ৫, মাধ্যমিকে ৫, উচ্চমাধ্যমিকে ১০, এক্সট্রা কারিকুলাম ৫, ইন্টিরভিউ-ভাইবা ৫, এপ্টিটিউড ৫। ডিএলএএড বা বিএড ১৫। মোমিতার বক্তব্য, 'এর আগে এপটিটিউড টেস্ট হয়নি। নম্বর বিভাজনে যথেষ্ট স্বচ্ছতা দরকার।'
আরেক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী অর্ণব ঘোষ নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চাকরিপ্রার্থী অর্ণবের বক্তব্য, 'ধর্মতলা যখন ধরনাতলা ও তিলোত্তমা নগরী যখন মিছিল নগরীরে পরিনত হচ্ছে, টেট পাশ আই-ওয়াশ ছাড়া কিছুই না। তা যদি না হয় আগের সমস্যার সমাধান না করে নতুন করে সমস্যা করার কারণ কি? শুধুমাত্র ভোটের আগে বাজার গরম করা। এখানে আদতে চাকরি প্রার্থীদের কিছু হবে না। শুধু পাশ করেই থাকবে।'