Ram Navami Rally in Malda: অস্ত্র হাতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দেখা গেল অনেককেই। কার্যত প্রশাসনের নির্দেশকে উপেক্ষা করেই অস্ত্রের মিছিল দেখল মালদাবাসী। আর সেই মিছিলেই পা মেলালেন বিজেপির সাংসদ থেকে বিধায়কেরা। এমনকি ছিলেন দলের জেলার প্রথম সারির নেতারাও। কারও হাতে তরোয়াল, আবার কারও হাতে হাঁসুয়া নিয়ে প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে এই শোভাযাত্রায়। রীতিমতো রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়েই কলাকৌশল করতে দেখা যায় অনেককেই।
পাশাপাশি ডিজে, ব্যান্ডপার্টি, ঢাক নিয়েও শোভাযাত্রায় ভিড় করেন বহু মানুষ। মূলত অল্পবয়সীদের হাতেই বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র শোভাযাত্রায় নিয়ে প্রদর্শনী করার অভিযোগ উঠেছে। এদিন মালদা শহরের রামনবমীর শোভাযাত্রায় রীতিমতো পুলিশের ঘেরাটোপেই পালিত হয়। কিন্তু তারপরেও পুলিশকে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে দেখা যায়নি বলেও বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা মন্তব্য করেননি। তবে এবছর মালদায় সুষ্ঠুভাবেই রামনবমীর শোভাযাত্রা পালিত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ১১টায় মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লির মাঠ থেকেই শুরু হয় রামনবমীর শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, ইংরেজবাজার পুরসভার বিজেপি দলের দুই কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ি, সুতপা মুখোপাধ্যায়-সহ দলেরই আরও বেশ কিছু জেলার পদস্থ নেতা-নেত্রীরা। এদিন গোটা শহর পরিক্রমা করে বাঁধরোড সংলগ্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থার পাশের মাঠে রামনবমীর শোভাযাত্রা শেষ হয়।।
কিন্তু এদিন এই শোভাযাত্রায় অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীদের হাতেই বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে এমনভাবে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্রের প্রদর্শন বিগত দিনে দেখা যায়নি বলেও দাবি বিভিন্ন মহলের। এবছরই প্রথম মালদা শহরের রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াল একাংশ প্রদর্শনকারীরা।
আরও পড়ুন ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই’ স্লোগানে মুখরিত রামনবমীর মিছিল, ঐক্যের বাংলায় সম্প্রীতির ছবি
যদিও এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রামনবমী উদযাপন কমিটির মালদার কার্যকরী সভাপতি কাজল গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা সমর্থন করি না। বরাবরই বলা হয়েছে মিছিলে অস্ত্র নিষিদ্ধ। আমরা অস্ত্র বহনের পক্ষে নয়। এখন কারা শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে অস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে সেটা প্রশাসনই বলতে পারবে। পুলিশকে বলেছি যাঁরা অস্ত্র নিয়ে প্রদর্শনী করছে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হোক।’