'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে করোনার আবহে ধরা পড়ল বাংলায় লকডাউনের এক অন্য় ছবি। রামনবমীর পুজো ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে ভিড় জমালেন ভক্তরা। যার জেরে ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন অমান্য়ের ছবি আরও একবার সামনে এল পশ্চিমবঙ্গে। রামনবমীর পুজো উপলক্ষে রাজ্য়ের বিভিন্ন মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমে করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি পরামর্শ কার্যত ধোপে টিকল না।
রামনবমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের বিভিন্ন মন্দিরের বাইরে ভক্তদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর রামনবমীর মিছিল বা কর্মসূচি বাতিল করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে সম্ভবত করোনা রুখতেই ভগবান রামের শরণাপন্ন হতে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের সেই চেনা ছবি ধরা পড়েছে জেলায় জেলায়।
আরও পড়ুন: বাংলায় করোনা আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা কমল মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যায়
পুজো শেষে হওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ভক্তকে বাড়ি পাঠাতে বলা হয়েছে পুলিশকে। একইসঙ্গে পুজো উপলক্ষে যাতে কোনও ধরনের জমায়েত না হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় সে বার্তা পুলিশের তরফে জনসাধারণকে দেওয়া হয়েছে বলে সংবাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।
জেলার পাশাপাশি খোদ কলকাতাতেও রামনবমী উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ভিড়ের ছবি সামনে এসেছে। বেলেঘাটা, মানিকতলা এলাকায় একাধিক মন্দিরের সামনে ভক্তদের ভিড় দেখা গিয়েছে। কোনওভাবেই যাতে জমায়েত না হয় এবং সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সেজন্য় রাম মন্দিরের পুরোহিতদের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য তারাপীঠ মন্দির কমিটির
কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "বহু মন্দিরের গেট বন্ধ ছিল এদিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তদের লাইনে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল।"
অন্য়দিকে, চায়ের দোকানে জমায়েতে বাধা দেওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে কয়েকজন পুলিশকর্মীর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুজন পুলিশকর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, খাদ্য়সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায় বীরভূমে এক রেশন দোকানের মালিককে মারধরের অভিযোগও উঠেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন