কলকাতার বাঙালিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা, নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। এতে কারোর খারপ লাগলেও কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়েছেন।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
মঙ্গলবার সকালে ইকোপার্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, 'কলকাতায় বিজেপি কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার মানুষ মোটেই দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। তারা শুধু নিজেদের সুবিধার কথা ভাবে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় কোনও প্রতিবাদ দেখেছেন? আমি যা বলি, সত্যি বলি। কারও খারাপ লাগলে কিছু করার নেই।'
কেন কলকাতার মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে না? দিলীপবাবু চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, 'কারও ক্ষমতা থাকলে কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালির এটাই চরিত্র। কালীঘাটের কাছাকাছি থাকব। আনন্দে থাকব। তাতে ভিখারি হয়ে থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। পুজোর টাকা পেলেই খুশি।'
আরও পড়ুন- কেষ্টর জামিন না হলেই বিচারককে সপরিবার ‘মাদক মামলা’, হুমকি চিঠিতে হুলস্থূল
১৯-শের লোকসভা থেকে, ২১শের বিধানসভা। কলকাতায় একটিও আসন জোটেনি গেরুয়া দলের। গত ডিসেম্বরে কলকাতা পুরভোটে মাত্র ৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ভোটের ফলাফলেই প্রমাণ যে কলকাতার ভোটাররা বিজেপিকে চায় না। যা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সরাসরি কলকাতার বাঙালিদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি।
তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা জেলে। তবুও কেন বিজেপির আন্দোলন কলকাতাকে উত্তাল করতে ব্যর্থ। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের আন্দোলনের লেশমাত্র কেন পদ্ম বাহিনী প্রদর্শন করতে পারছে না? দিলীপ ঘোষের স্পষ্টাস্পটি উত্তর, 'কলকাতামুখী আন্দোলন করলেই আন্দোলন আর জেলায় জেলায় আন্দোলন হলে সেগুলি কিছু নয়, এমনটা নয়। বিজেপি জেলাজুড়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। বহু মানুষ তাতে যোগ দিচ্ছেন। কলকাতার পথ আটকে মানুষকে আসুবিধায় ফেলে কোনও লাভ নেই।'