ফের দিলীপের নিশানায় বামেরা। করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবারের বাম-বিক্ষোভ নিয়ে সোচ্চার বিজেপি নেতা। ''বিরোধিতাটাই ভালো করতে পারে বামেরা, সরকারটা ওরা চালাতে পারে না।'' বামেদের বিঁধে এমনই বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপিত দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, করুণায়ীতে চাকরির দাবিতে ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনের পাশে শুরু থেকেই ছিল বামেরা। শুধু বামেরাই নয়, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্ট অনেকেই আন্দোলনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে পালা করে বাম নেতা-নেত্রীরাও আন্দোলনস্থলে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে করুণাময়ীর একটানা চারদিনের আন্দোলন তুলতে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। মাত্র ১৫ মিনিটেই বিক্ষোভ-ধর্না তুলে দেয় পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে সরানো হয় আন্দোলনকারীদের।
এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয় সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। বামেদের যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে করুণাময়ী মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যদিও করুণাময়ীতে বাম বিক্ষোভের শুরুতেই বাধা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন- আলোর উৎসব ভেস্তে দিতে চোখ রাঙাচ্ছে সিত্রাং, জেলায়-জেলায় সাইক্লোন-অ্যালার্ট
বেশ কয়েকজন বাম কর্মীদকে টেনে সরিয়ে দেয় পুলিশ, কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সিটি সেন্টারের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তদের মতো যুব নেতাদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ তুলতে যায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্দ বেধে যায় বাম নেতা-কর্মীদের। শেষমেশ কার্যত চ্যাংদোলা করে বাম নেতা-কর্মীদের গাড়িতে তোলে পুলিশ।
বামেদের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গেই এবার কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''বিরোধিতাটাই ভালো করতে পারে বামেরা। সরকারটা ওরা চালাতে পারে না। বামেরা উন্নয়ন করতে পারে না বলেই মানুষ ওদের বিসর্জন দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার নিয়ে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। প্রত্যেকেই এর বিরোধিতা করছে। তবে বামেদের দেখে বাংলার মনুষ বুঝেছেন আন্দোলনটাই ওদের ভালো কাজ।''