ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। ওই দিনই আবার রাজ্যে টেট পরীক্ষা রয়েছে। ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে গীতা পাঠ কর্মসূচির মধ্যে মানুষের 'মুক্তি' দেখতে পাচ্ছেন খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
গীতা পাঠ অনুষ্ঠান নিয়ে ধর্মীয় উসকানির কথা বলছেন বিরোধীরা। কী বলবেন? বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যাঁরা ধর্মীয় উসকানি দেখছেন তাঁরা নিজেরাই চণ্ডী পাঠ শুরু করে দিয়েছেন। জিনিসটা তো খারাপ নয়, আপনারা করুন না! সবার করা উচিত, ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে গীতা যুক্ত। বিশ্বে গীতার প্রচার চলছে নানা ভাষায়। মানুষের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন গীতা পাঠ করে। কেউ যদি গীতা পাঠ আয়োজন করে, প্রচার করে তাহলে ওদের পূণ্য হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের জীবনেরও পরিবর্তন হচ্ছে।'
দিল্লিতে সংসদে ধোঁয়া হানার মূল কাণ্ডারী ললিত ঝাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতায় বড়বাজার ছাড়াও বাগুইআটিতে তাঁর বসবাসের যোগ মিলেছে। তা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিবাদ চড়েছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'পশ্চিমবাংলায় বোম বন্দুক উগ্রপন্থী ক্রিয়া-কলাপ এখান থেকে উৎসাহ নিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে উৎপাত করে। বারবার কেন পশ্চিম বাংলার দিকে আঙ্গুল ওঠে? উগ্রপন্থী গ্যাংস্টার লুকিয়ে থাকে তার ইনফরমেশন থাকে না। এখনকার মানুষ তো ভগবানের ভরসায় বেঁচে আছেন! নিজেরা ঠিক করুন, কথায় কথায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলা! নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে না।"
আরও পড়ুন- বিজ্ঞানের অভাবনীয় ‘উপহার’! স্বামীর মৃত্যুর ২ বছর পর সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ নিয়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে উদ্যোক্তারা। ওই দিন আবার রাজ্যে টেট পরীক্ষা। আয়োজকরা টেট পরীক্ষা দিন পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত একই দিনে দুটি কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে। তারই মধ্যে চলছে চরম বিতর্ক।
আরও পড়ুন- মুসলিম শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি, অযোধ্যার মন্দির সাজিয়ে তুলতে প্রাণপাত জামালউদ্দিনের