Dinhata: কোচবিহারের 'খেলা' ঘোরাতে পারে একা দিনহাটাই! শহরের আঁখোদেখি হালচাল বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ!
Nisith Pramanik-BJP: কোচবিহার কেন্দ্রে এবারও বিজেপির বাজি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল এই কেন্দ্র থেকে এবার প্রার্থী করেছে জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিনহাটা থেকে লিড পেয়েছিলেন নিশীথ। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'খেলা' ঘুরে যায়। দিনহাটায় সবুজ ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল গেরুয়া পতাকা।
Nisith Pramanik-BJP: কোচবিহার কেন্দ্রে এবারও বিজেপির বাজি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল এই কেন্দ্র থেকে এবার প্রার্থী করেছে জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিনহাটা থেকে লিড পেয়েছিলেন নিশীথ। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'খেলা' ঘুরে যায়। দিনহাটায় সবুজ ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল গেরুয়া পতাকা।
Lok Sabha Election 2024-Cooch Behar: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাগাতার অশান্তির ঘটনার রেকর্ড আছে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) রাস্তায় তেড়ে যাওয়া বা সরাসরি অশান্তি দেখা গিয়েছে। তবে একবার নয়, তারও বেশি। কোচবিহার লোকসভার মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু আবার উদয়নের বিধানসভা কেন্দ্র দিনহাটা (Dinhata)। নির্বাচন নিয়ে এই শহরের বাসিন্দারাও একটু হলেও টেনশনে আছেন। ২০২১-এর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে পাশের শীতলকুচির বুথেই নিহত হয়েছিলেন ৪ জন নিরীহ ভোটার।
Advertisment
জয়ের ব্যবধান ১,৬৪,৫৭৫। ভোট শতাংশ ৮৪.৫১। প্রধান প্রতিপক্ষর প্রাপ্তি ১১.৩১ শতাংশ ভোট। এই ছিল দিনহাটায় ২০২১-এর বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল। তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর জয়জয়কার। ঠিক তার কয়েক মাস আগে তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে এই কেন্দ্রে ৫৭ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন উদয়ন গুহ। এবার কোচবিহার লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম ফ্যাক্টর দিনহাটা বিধানসভা। নিশীথ প্রামাণিক বা জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার (Jagadish chandra Basunia) মধ্যে খেলা এলোমেলো করে দিতে পারে দিনহাটা। আরও বেশ কয়েকটি কারণে দিনহাটার গুরুত্ব আছে।
দিনহাটা কলেজ। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
দিনহাটা থেকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ১৫,৫৩৯ ভোটের লিড পেয়েছিলেন। তিনি বাকি লিড পেয়েছিলেন মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ ও নাটাবাড়ি থেকে। তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী লিড পেয়েছিলেন সিতাই ও শীলতকুচি থেকে। কিন্তু এবার দিনহাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিনহাটা কি এবার লিড দিতে পারবে নিশীথকে? তবে ২০২১-এর বিধানসভা উপনির্বাচনের ব্যবধানের ভরসায় যে তৃণমূল প্রার্থী লড়াই করছেন না তার জন্য জ্যোতিষী হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে দিনহাটা শহর ঘুরে কেউ টের পাবেন না কি হতে চলেছে ১৯ এপ্রিল। এই শহরে গেলে যে কারও একটা পান খাওয়ার ইচ্ছা হবে। চারিদিকে পানের গুমটি বা দোকান। শহরে রাজনীতি নিয়ে হাজারো কথা বললেও দিনহাটার জমজমাট পাঁচমাথার মোড়ের পাশের দোকানির একটাই অনুরোধ কিছুতেই নাম প্রকাশ করা যাবে না। ঘুঘুমারির অশান্তির পর দিনহাটায় একটা গেরুয়া পতাকাও চোখে পড়েনি।
দিনহাটা শহরের ব্যস্ত সময়ের ছবি। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
শহরে বিজেপির কার্যালয় দেখা যায়নি। তবে কি একতরফা তৃণমূলের ভাঁড়ারে ভোট পড়বে? শহরজুড়ে একেবার ঘুমোট আবহাওয়া। "কেউ টেরই পাবে না কোন নেতার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে কাকে ভোট দিয়ে চলে আসবে ভোটার।" দোকানির মুচকি হাসি-সহ এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পদ্ম ও জোড়াফুলের পতাকায় ঢেকেছে শহর। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
কোচবিহারে রাজনৈতিক উত্তাপ হলে দিনহাটায় টের পাওয়া যায়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মিছিল লেগেই আছে। কিন্তু উপনির্বাচনে ১,৬৪,৫৭৫ ভোটের ব্যবধানই এবার বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস সমস্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, কমাতে নয়। দিনহাটার ভেটাগুড়িতে বাড়ি বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের।
এখানকার বিধায়ক উদয়ন গুহ। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিনহাটা খেলা ঘোরাতে পারে কোচবিহারের ফলাফলের। তবে খেলা কোন দিকে ঘুরবে দিনহাটার ঘুমোট আবহাওয়ায় টের পাওয়া মুশকিল রাজনৈতিক দলগুলির। তার জন্য নির্বাচনের পরও দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে।