Malda BJP News: বিজেপির শাখা সংগঠন মণ্ডল সভাপতির তালিকা প্রকাশিত হতেই দলের একাংশ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু এলাকায় মণ্ডল সভাপতিদের নাম প্রকাশিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির একাংশ কর্মী, সমর্থকদের বুধবার রাতে মণ্ডল সভাপতি তালিকা প্রকাশ হতেই মোথাবাড়ি এলাকায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান দলের একাংশ কর্মী, সমর্থকেরা। অবিলম্বে অযোগ্যদের মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কথাও বলেছেন বিক্ষোভকারী বিজেপির একাংশ কর্মী-সমর্থকেরা।
যদিও এপ্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ জানিয়েছেন, মণ্ডল সভাপতিদের নির্বাচন করেন কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর কোথাও হয়তো বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু পরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ৩৩ জন মণ্ডল সভাপতি রয়েছেন। একেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে চারজন করে পৃথক এলাকা অনুযায়ী মণ্ডল সভাপতি আছেন। এদিনের এই ৩৩টি এলাকার মধ্যে ১৯ জায়গার মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করে দলের জেলা নেতৃত্ব। ৬টি এলাকার মণ্ডল সভাপতিদের নাম স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ৮টি জায়গার মণ্ডল সভাপতিদের যে নামের তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে গিয়েছিল, সেটি বাতিল করেছে দলীয় নেতৃত্ব।
এদিকে এই তালিকা প্রকাশিত হতেই মোথাবাড়ি এলাকায় দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন বিজেপির একাংশ কর্মী ও সমর্থকেরা। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মী প্রশান্ত মণ্ডল, ছোটন মণ্ডলদের অভিযোগ, 'যাঁরা দলের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কোনও সম্পর্কই রাখেনি, তাঁদেরকেই মণ্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। মোথাবাড়ি কেন্দ্রে মণ্ডল -২ সভাপতি করা হয়েছে জয়দেব মণ্ডলকে। অথচ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জয়দেব মণ্ডল টিকিট না পেয়ে দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। দুই বছর দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। আর সেই ধরনের ব্যক্তিকে এলাকার মণ্ডল সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেকেই যোগ্য নেতারা রয়েছেন। যাঁরা এই সংগঠনের সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কোনওভাবেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তাতেই আমাদের ধারণা দলের জেলা নেতৃত্বের একটা অংশ টাকার বিনিময় নিজেদের পছন্দের মতো লোকেদের মণ্ডল সভাপতি পদ দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন '২৬-এর ভোটে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু? জল্পনার শুরুতেই অলআউট আক্রমণে তৃণমূল
একই রকম অভিযোগ চাঁচল, গাজোল, পুরাতন মালদা এলাকার একাংশ বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের। তাঁরাও মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ হতেই চরম ক্ষোভ দেখিয়েছেন । ওইসব এলাকার অসন্তুষ্ট বিজেপির একাংশ কর্মী ও সমর্থকদের বক্তব্য, 'যোগ্য প্রার্থীরা মণ্ডল সভাপতি পদে স্থান পেল না। অথচ বিভিন্ন জায়গায় অযোগ্য এবং অচেনাদের এই পদে রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে দলের কিছু জন টাকার বিনিময়ে নিজেদের মনমতো লোকেদের মণ্ডল সভাপতি করিয়েছেন।'
বিজেপির দক্ষিণ মালদার সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ বলেন, 'এই মণ্ডল সভাপতি নিযুক্ত করা এবং তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্বের কোনও হাত নেই। সম্পূর্ণটাই কেন্দ্রীয় কমিটি ঠিক করে থাকে। তবে নতুন কমিটি হলে অনেক সময় দলের কেউ কেউ ক্ষোভ, বিক্ষোভ দেখায়। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি মিটমাট করিয়ে নেওয়া হবে।'