Advertisment

'শিক্ষা নেয়নি-অপ্রস্তুতি সরকার', অ্যাডিনোর থাবা জোড়াল হতেই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা

ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই হিমশিস অবস্থা হাসপাতালগুলির।

author-image
Joyprakash Das
New Update
Doctors angry over state government hospital infrastructure as adenovirus outbreak rises , 'শিক্ষা নেয়নি-অপ্রস্তুতি সরকার', অ্যাডিনোর থাবা জোড়াল হতেই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা

রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

অ্যাডিনো সংক্রমণে রাজ্যে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে বেডের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই কাঠগোড়ায় তুলেছেন চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক নেতৃত্ব। সিগন্যাল থাকা সত্বেও কেন কোনও প্রস্তুতি নেয়নি রাজ্য সরকার? জোরালো প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকরা। এর আগে কোভিড ১৯ থেকেও রাজ্য শিক্ষা নেয়নি বলেই বিশিষ্ট চিকিৎসকদের দাবি।

Advertisment

অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরস-এর সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বলেন, 'আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রস্তুতি কোনওকালেই ছিল না। কোভিডের ভয়াবহতা থেকে আমাদের রাজ্য কোনও শিক্ষাই নেয়নি। কোভিডের সময় অপ্রস্তুত ছিলাম। বারে বারে লকডাউন করেছি। সেই সব দুঃসহ দিন আর যেন স্মরণে না আনতে হয় তার জন্য দরকার ছিল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রাখা। এখন আগুন লাগার পর জলের বালতি নিয়ে দৌঁড়ে বেরাচ্ছে। ইচ্ছে করলেই আইসিইউ, নিকু, পিকু তৈরি করে ফেলা যায় না। এর জন্য সময় লাগে। যন্ত্র কিনলেই তো হয় না। প্রশিক্ষণের ব্যাপার আছে।'

কোভিড পরিস্থিতি চাক্ষুস করেছে সারা বিশ্বের সঙ্গে এই রাজ্য। অনেক ক্ষেত্রে নতুন পরিকাঠামো করতে হয়েছে। কোটি কোটি খরচ হয়েছে কোভিডের সময়। করোনা আবহ পার হতেই অ্যাডিনো ভাইরাস একটু আধটু উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এখন তা প্রায় আতঙ্কের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ডা. মানস গুমটার বক্তব্য, 'সরকারের চূড়ান্ত অপ্রস্তুতির জন্য মানুষগুলো সর্বস্ব হারাবে। এক বেডে দু-তিনটে করে বাচ্চা থাকছে। আবার এটাও ঠিক মানুষের মধ্যে চূড়ান্ত অসচেতনতা আছে। যখনই একটু ভালো হয় ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধি মানুষ মানতে চায় না।' বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের পরামর্শ, 'অযথা আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসা ব্যবসা বৃদ্ধি করতে দেবেন না। নিজেদের মতো অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে।'

এদিকে জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুদের ভিড় হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে। সাধারণত সিজন চ্যাঞ্জের সময় ভাইরাসজনিত রোগের আধিক্য একটু বেশি দেখা যায়। সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাসের বক্তব্য, 'করোনা থেকে সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। আগে থেকে সিগন্যাল দিচ্ছিল, এটা বাড়বে। মানুষকে সচেতন করার যে ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল তাও সরকার নেয়নি। বেড বাড়ানোর ব্যাপার ছিল তাও করেনি। উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ করা, পরিকাঠামো করা উচিত ছিল। বাজেট উল্টে কমিয়েছে। সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।' রেফার রোগীর ক্ষেত্রে সজলবাবু বলেন, 'সরকার যদি তৎপরতার সঙ্গে পরিকাঠামো না করে আরও রোগীমৃত্যু ঘটতে পারে। বিবৃতি দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কোভিডের সময় যে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল তা এখন ব্যবহার করতে হবে।' কোটি কোটি টাকা দিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো গেল কোথায়? প্রশ্ন তোলেন ডা. সজল সরকার।

আরও পড়ুন- অ্যাডিনোর তাণ্ডবে ‘হিমশিম’ বিসি রায় শিশু হাসপাতাল! প্রকট ‘রেফার রোগ’

West Bengal Mamata Government adenovirus
Advertisment