RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবি সহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর মাঝে জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। তবে গণইস্তফা করলেও হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গণ ইস্তফাটা ছিল 'প্রতীকী'। যার জেরে স্বাস্থ্যপরিষেবা কোন ভাবেই প্রভাবিত হয়নি। রাজ্য জুড়ে উৎসব আবহে কারণে আউটডোরে রোগীর চাপ যথেষ্টই কম ছিল। যদিও সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তার, আরএমও এবং সহকারী অধ্যাপকরা তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের জন্য হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
ব্রাহ্মণ ছাড়াই মহাসমারোহে পালিত হয় দুর্গাপুজো, আজব রীতিতে চর্চায় বাংলার এই আদিবাসী গ্রাম
তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "আমরা এখনও কোনও ডাক্তারের কাছ থেকে তাদের গণ ইস্তফার বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে কিছু পাই নি। গণ ইস্তফার কোন নিয়ম নেই। পদত্যাগ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তবে, স্বাস্থ্যপরিষেবা কোন ভাবেই প্রভাবিত হয়নি"। কলকাতার বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে গণ ইস্তফা দেন। শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসকও কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের সমর্থনে গণ ইস্তফা করেছেন, বলে ডাক্তারদের ডক্টরস ফোরাম জানিয়েছে।
তাদের তরফে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানানো হয়, "আমরা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা এই ধরনের 'নিপীড়নমূলক' পরিস্থিতিতে আমাদের পরিষেবা চালিয়ে যেতে হতাশ এবং নিরুৎসাহিত। আমাদের ছাত্র এবং জুনিয়ররা যখন বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে, আমরা তাদের দাবিগুলি সমাধান করার জন্য এবং সমাধান নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি। তবে, এখন পর্যন্ত সরকারের তরফে এমন কোন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না'।
আরজি কর কাণ্ডের চার্জশিটে সন্দীপ-অভিজিতেরও নাম! কী অভিযোগ আনল সিবিআই?
ডাঃ সুনীতি হাজরা, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন, ব্যাখ্যা করেছেন যে পদত্যাগগুলি রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, যারা জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের বিষয়েও নীরব । আমাদের পদত্যাগ প্রতীকী, যার উদ্দেশ্য সরকারকে আলোচনায় বসার দাবি জানানো। আমরা চাই না রোগীরা পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাক। আমরা তাদের চিকিত্সা করছি এবং তা চালিয়ে যাব কারণ এটি আমাদের কর্তব্য এবং আমরা এটি করতে নৈতিকভাবে বাধ্য,”।