Advertisment

মমতার ক্ষমতা প্রদর্শন: প্রতিবাদে গণ ইস্তফা চিকিৎসকদের

কলকাতায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হুমকির প্রতিবাদে প্রথম প্রতিক্রিয়া এল জেলার হাসপাতাল থেকে। ইস্তফা দিলেন মেডিসিন বিভাগের আট চিকিৎসক। ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই চিকিৎসক

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nrs, এনআরএস

এনআরএসে অব্যাহত অচলাবস্থা। ছবি: অরুণিমা কর্মকার।

এনআরএসকাণ্ডের জেরে, মুখ্য়মন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বক্তব্য়ের প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন আরও দুই চিকিৎসক। আজ ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান নির্মল বেরা-সহ আরেক চিকিৎসক। । উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এনআরএসের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পর থেকেই গণ-ইস্তফা দিতে শুরু করেন চিকিৎসকরা।

Advertisment

প্রসঙ্গত, গতকাল ইস্তফা দিয়েছেন কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালের আট চিকিৎসক। এনআরএস কাণ্ডের জেরে মুখ্য়মন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বক্তব্য়ের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে ৪ ঘণ্টার মধ্য়ে সমস্ত জুনিয়ার ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে এসমা জারির হুমকি দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে কাজ শুরু করানোর কথাও বলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কলেজ অফ মেডিসিন অ্য়ান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের তিন চিকিৎসক পদত্য়াগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই কলেজের এক শিক্ষক-চিকিৎসক।

তাহলে এবার কী হবে! এই প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসক জানায়, মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ইস্তফা প্রথমে দিতে হয় বিভাগীয় প্রধান অর্থাৎ হেড অফ দ্য় ডিপার্টমেন্টের কাছে। এর পর সেই ইস্তফাপত্র যায় অধ্য়ক্ষের কাছে। সেখান থেকে ইস্তফার চিঠি পৌঁছয় স্বাস্থ্য়দফতরে। অর্থাৎ ইস্তফাপত্র গৃহীত হতে হয় তিন দফায়। সাগর দত্ত হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি এখনও চালু হয়নি। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে ওই কলেজের অন্য় বিভাগেও পদত্য়াগের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

গত সোমবার এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজে এক রোগীমৃত্য়ুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে চড়াও হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করে একদল উন্মত্ত জনতা। এ ঘটনায় পরিবহ মুখোপাধ্য়ায় নামে এক চিকিৎসক গুরুতর জখম হন। তাঁর চিকিৎসা চলছে এখনও। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার সারা রাজ্য় ব্য়াপী আউটডোর বন্ধ রাখার ডাক দেন ডাক্তাররা। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমার্জেন্সি বিভাগেও কাজ বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। এর ফলে ব্য়াপকভাবে ব্য়াহত হয় স্বাস্থ্য় পরিষেবা।

Mamata Banerjee health
Advertisment