Donald Trump On India pakistan ceasefire: কাশ্মীর নিয়ে সমাধান খুঁজতে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুনিয়া কাঁপিয়ে বিরাট ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর শান্তি ফিরতে শুরু করেছে, এবং এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাশ্মীর সংকট সমাধানে তিনি উভয় দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে, মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশ একটি তাৎক্ষণিক এবং পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
ট্রাম্প শনিবার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, হাজার বছরের কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায় কিনা সেই লক্ষ্যে আমি ভারত-পাকিস্তান দুদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব"। এই মন্তব্য আবারও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন মধ্যস্থতার প্রসঙ্গকে সামনে এনেছে।
তিনি আরও লেখেন, "ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াবে আমেরিকা। আগ্রাসন থামাতে দুই দেশের দক্ষ নেতৃত্বের জন্য আমি গর্বিত। লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষের প্রাণের সম্ভাব্য ক্ষয় রোধ করা গেছে।"
https://truthsocial.com/@realDonaldTrump/114487190752990599
যুদ্ধবিরতির পর ভারতের অবস্থান
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও (DGMO) পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে ১০ মে বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরণের গোলাগুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "এই সমঝোতা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফল। ভারত সবধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত একটি নতুন 'রেডলাইন' নির্ধারণ করেছে।
'তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই'
সরকার জানিয়েছে, এই সমঝোতা সরাসরি দুই দেশের মধ্যে হয়েছে, কোনও তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সরকারি সূত্র বলছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও পূর্ব বা পরবর্তী শর্ত আরোপ করা হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা ও প্রতিক্রিয়া
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির পূর্বে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানান।
সিএনএন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা — জেডি ভ্যান্স, রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস — পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রেখেছিলেন।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রী ইসহাক দার এক্স -এ পোস্ট করে বলেন, "পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান কখনোই তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করবে না।"
সমঝোতা হলেও উদ্বেগ রয়ে গেছে
যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়েছে, ভারত এখনও সমস্ত কূটনৈতিক চাপ বজায় রেখেছে, যার মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত সহ বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ রয়েছে । ভারত জোর দিয়ে বলছে, সমস্যার সমাধান হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি অনুযায়ী।