নিপুণ হাতের আলতো ছোঁয়ায় অসামান্য নজির! নকশিকাঁথায় অনন্য কীর্তি প্রৌঢ়ের

কাজের প্রতি একাগ্রতা তাঁর শিল্পস্বত্ত্বাকে যেন আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করেছে। দিনে প্রায় ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। তাঁর কারখানায় সাজানো রয়েছে তাঁরই হাতে তৈরি নকশি কাঁথার বিপুল সম্ভার। যা সচক্ষে দেখতে প্রায়ই ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। এছাড়াও এলাকার বেশ কিছু মহিলাদেরও কাজ শেখান তিনি।

কাজের প্রতি একাগ্রতা তাঁর শিল্পস্বত্ত্বাকে যেন আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করেছে। দিনে প্রায় ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। তাঁর কারখানায় সাজানো রয়েছে তাঁরই হাতে তৈরি নকশি কাঁথার বিপুল সম্ভার। যা সচক্ষে দেখতে প্রায়ই ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। এছাড়াও এলাকার বেশ কিছু মহিলাদেরও কাজ শেখান তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Draupadi Murmu Narendra Modi portrait in Nakshikantha by Jahar Ali Mandal, নকশিকাঁথা, সূচ সুতো

নিজের কারখানায় কাজে ব্যস্ত জহর আলি মণ্ডল। ছবি: মোবারাক কোরাইশী।

তাঁর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে চরিত্রগুলি। সুচ-সুতোর টানে এর আগে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দেশ তথা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ত্বদের। এবার তাঁর ইচ্ছা দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধীর প্রতিকৃতি বানিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া। মাস কয়েক আগে তাঁদের চিত্রায়নের কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। ইমেলে তাঁর সেই বার্তাও তিনি পৌঁছে দিয়েছেন তাঁদের কাছে।

Advertisment

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়া গ্রাম। এই গ্রামেরই বাসিন্দা জহর আলি মণ্ডল। সূচ-সুতোর টানে তিনিই ফুটিয়ে তুলেছেন বেশ কিছু বিশিষ্ট চরিত্র। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির 'মোনালিসা' থেকে শুরু করে এপিজে আবদুল কালাম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়-সহ একাধিক বিশিষ্টদের প্রতিকৃতি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন শুধুমাত্র তাঁর হাতের 'জাদু'তে।

শুধু তাই নয় জহর আলির হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে জাপানের পতাকাও। যা এক মাস আগে কুরিয়্যরে জাপানে পাঠিয়েছেন তিনি। এবার প্রৌঢ়ের স্বপ্ন, সারা বিশ্বের সামনে তাঁর এই সূচিশিল্পকে তুলে ধরা। ষাটের কোঠায় বয়স ছুঁলেও কাজের প্রতি একাগ্রতা তাঁর শিল্পস্বত্ত্বাকে যেন আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- TMC Leader Viral Photo: বন্দুক হাতে চোখ পাকিয়ে পোজ তৃণমূলের যুবনেতার! ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্কের সুনামি

দিনে প্রায় ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। তাঁর কারখানায় সাজানো রয়েছে তাঁরই হাতে তৈরি নকশি কাঁথার বিপুল সম্ভার। যা সচক্ষে দেখতে প্রায়ই ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। এছাড়াও এলাকার বেশ কিছু মহিলাদেরও কাজ শেখান তিনি। তাঁর কাছে সেলাইয়ের কাজ শিখে আজ গ্রামের অনেক মহিলাই স্বনির্ভর হয়েছেন।

আরও পড়ুন- ‘বাকিটা আমরা দেখব, শুধু টাকাটা দেবেন’, ছাত্রীকে ডাক্তারি পাশ করানোর প্রস্তাব কাদের?

West Bengal North 24 Pargana Nakshi Katha