ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সোনা পাচার রুখল ডিআরআই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল ডিআরআই। এ ঘটনায় দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ৩.৭৭ কোটি টাকা বলে খবর। ধৃতরা একটি পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মাজদিয়া স্টেশন থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়। গেদে-রানাঘাট লোকাল ট্রেন থেকে ধৃতরা মাজদিয়া স্টেশনে নামে। সেখানেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কোমরের বিশেষ বেল্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সোনার বিস্কুট। ধৃতরা বেল্টেই সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রেখেছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন, পেঁপের প্যাকেটে সোনার বিস্কুট! বিএসএফের হাতে ধৃত ১
এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে বিদেশি সোনা পাচার করা হচ্ছে, এমন খবর গোপন সূত্রে পেয়ে অভিযান চালায় ডিআরআই। বাংলাদেশ থেকে বিদেশি সোনা এদেশে এনে তা বিভিন্ন দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা মাফিকই ওই চক্রকে ধরা হয়েছে। পাচার হওয়া বাজেয়াপ্ত সোনার ওজন ১১.৬৬, বাজারমূল্য ৩.৭৭ কোটি টাকা।’’
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বর্তমান অর্থবর্ষে এ রাজ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে ৩৯৫ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই। বাজেয়াপ্ত সোনার বাজারমূল্য ১২৩ কোটি টাকা। এ দেশ থেকে সোনা বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ভুটান, চিন সীমান্তে পাচার করা হত বলে মনে করা হচ্ছে। এ শহরেও সোনা পাচারকারীদের রমরমা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার বউবাজার, বড়বাজার এলাকা আন্তর্জাতিক সোনা পাচারচক্রের ‘হাব’-এ পরিণত হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘কলকাতার বাজারে ব্যবসায়ীরা সোনার গয়না বানান, যা অন্য দেশে পাঠানো হয়।’’
Read the full story in English