যোগাযোগ ব্যবস্থার করুণ পরিস্থিতির শিকার কাঁকসার বিধবিহার গ্রামের মানুষ। প্রায় ১০ কিমি ধূলিধূসর রাস্তা আরও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে বর্ষার সময়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামের অন্যান্য পথ পিচ বাঁধানো হলেও, এই রাস্তাটির আর কোনও উন্নয়ন করা হয়নি পঞ্চায়েতের তরফে। আন্দাজ ১০ থেকে ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার এহেন অবস্থায় নিত্যকার দুর্ভোগ পোহান গ্রামবাসীরা। এমনকি রাস্তার জরাজীর্ণ অবস্থার দরুন গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদেরও ঘুরপথে স্কুলে পৌঁছতে হয়।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ঘটনা! চলন্ত ট্রেনে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ খোয়ালেন মা-মেয়ে
প্রসঙ্গত, বাম আমলে তৈরি হওয়া এই রাস্তার বিশেষ কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি গত কয়েক বছরে। পথচলতি মানুষদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি হওয়ার পর সরকার আর এগিয়ে আসেনি বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে, কাজেই কালের নিয়মে ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এমনকি রাস্তার করুণ পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হতে চলছে কাঁকসা এলাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তার হাল বর্ষায় আরও শোচনীয় হয়ে পড়ায় ঘুরপথে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে তবে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন- আজব কাণ্ড! রাতের আঁধারে পুড়ছে বাইক-গাড়ি, আতঙ্কে প্রহর গুনছে দুর্গাপুর
রাস্তার হাল আরও বেহাল হওয়ার জন্য ভারী ট্রাকের যাতায়াতকেও দুষছেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই রাস্তা সংলগ্ন অজয় নদীর বালিঘাটে আসে বহু ট্রাক। যেখানে রাস্তার এই অবস্থায় রুটের গাড়ী বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে কীভাবে বালিভর্তি ওভারলোডেড ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে? গ্রামবাসীর অভিযোগ, ট্রাক চলাচলের ফলে আরও খারাপ হয়ে পড়ছে রাস্তার অবস্থা।
অন্যদিকে, এই ভাঙা রাস্তার পাশে রয়েছে একটি সেতু। রাস্তার পাশাপাশি সেই সেতুর হালও বেহাল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, কাঁকসার বিধবিহার গ্রাম ছাড়াও জামদোহা, বেতা, ঠাকুরনগর গ্রামের বাসিন্দারাও নিত্য এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিধবিহার পঞ্চয়েত সূত্রের খবর, এই রাস্তা নিয়ে আগে উন্নয়নের পরিকল্পনা হয়েছিল, কিন্তু তারপর কোনো কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখনো ওপরমহল থেকে রাস্তা ঠিক করার কোনও নির্দেশ পায়নি বিধবিহার পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের বক্তব্য, রাস্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জট তৈরি হওয়ার ফলে রাস্তার সংস্কার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এখন কবে ঠিক হবে এই রাস্তা সে আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন, এখানে