/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/21/falls-2025-10-21-15-36-15.jpg)
Himalayan beauty: দিন কয়েক নিরিবিলিতে কাটাতে চাইলে এই এলাকা একেবারে পারফেক্ট চয়েজ।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিকিমের উত্তর জেলার একটি অনন্য অঞ্চল হলো জোঙ্গু (Dzongu)। এটি মূলত লেপচা জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত এলাকা, যাদেরকে সিকিমের আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। জোঙ্গু রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে, তিস্তা নদীর তীরে এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যানের কাছে অবস্থিত। এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশগত গুরুত্বের কারণে জোঙ্গু আজ পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
জোঙ্গুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। এখানে ঘন সবুজ পাহাড়, ঝরনা, নদী, ও তুষারাচ্ছন্ন পর্বতমালা মিলেমিশে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের দৃশ্য এখানে থেকে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এলাকা জুড়ে রয়েছে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী, যা জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে জোঙ্গুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এখানকার বনভূমিতে রয়েছে নানা ঔষধি গাছ ও অর্কিড, যা গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
জোঙ্গু শুধু প্রকৃতির নয়, সংস্কৃতিরও এক অনন্য কেন্দ্র। এখানকার লেপচা জনগণ নিজেদের ঐতিহ্য, ভাষা, সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে প্রাচীন সংস্কৃতিকে আজও জীবিত রেখেছেন। তাদের জীবনযাপন এখনো অনেকাংশে প্রকৃতি-নির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব। লেপচাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, কাঞ্চনজঙ্ঘা তাদের দেবতা, এবং প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানকে তারা পবিত্র হিসেবে গণ্য করেন।
বর্তমানে জোঙ্গুতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (eco-tourism) ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে হোমস্টে ব্যবস্থা পর্যটকদের স্থানীয় জীবনযাত্রা কাছ থেকে জানার সুযোগ দেয়। যারা ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে, শান্ত ও নির্জন পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য জোঙ্গু এক আদর্শ স্থান।
আরও পড়ুন-পাহাড়-নদীর অপরূপ মেলবন্ধন! উত্তরবঙ্গের এপ্রান্তের চিত্তাকর্ষক শোভা ভাষায় প্রকাশ কঠিন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us