বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাহাড় গড়লেন কীভাবে? রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবল পদে চাকরি করে কোথা থেকে পেলেন এত টাকা? আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা ইডি-র।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মণ্ডলের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বর্তমানে কেষ্টর সঙ্গেই আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল। এর আগে সিবিআই সায়গলকে দফায়-দফায় জেরা করলেও ইডি জেরার মুখোমুখি হননি সায়গল। তাকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল এই কেন্দ্রীয় সংস্থাও। শেষমেশ আসানসোল আদালতের অনুমতি নিয়েই সায়গলকে জেরা ইডি-র।
সায়গলকে জেরার জন্য দিল্লি থেকে এসেছেন ইডির দুঁদে কয়েকজন অফিসার। আসানসোল সংশোধনাগারে তাঁদেরই প্রশ্নবাণের মুখোমুখি অনুব্রতর দেহরক্ষী। সিবিআই সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। তাঁর স্ত্রী, মা ও আত্মীয়দের নামেও একাধিক জেলায় জমি, বাড়ি, দোকান, ফ্ল্যাটের মালিকানা রয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও খাস কলকাতা শহরেও সায়গলের সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন সায়গল? তাকে জেরা করে এসব তথ্যই জানার চেষ্টা ইডির।
আরও পড়ুন- ১৮ কোটির এফডি, ৫৩টি দলিল কেষ্টর, গরু পাচার মামলায় চার্জশিট জমা CBI-এর
সায়গলের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ইডির হাতে এসেছে। ওই সব অ্যাকাউন্টগুলি থেকে লেনদেন হওয়া টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে, বা কোন উৎস থেকে ওই টাকা তিনি পেয়েছেন, সেব্যাপারেই সায়গলকে জেরা ইডি-র। এর আগেও একবার সায়গল হোসেনকে জেরার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তবে প্রথমবার দিল্লির আদালতে সায়গলকে জেরার অনুমতি চায় ইডি। দিল্লিতে সায়গলের নামে কোনও মামলা না থাকায় ইডি-র সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে ইডিকে আসানসোল আদালতে আবেদনের পরামর্শ দেয় দিল্লির একটি আদালত। শেষমেশ আসানসোল সিবিআই আদালত সায়গলকে জেরার অনুমতি দেয় ইডিকে।