নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া ইডি ও সিবিআই। মঙ্গলবার দফতরে ডেকে টানা ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূলের নেতা কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। ইডি সূত্রের দাবি, জেরায় নিয়োগের নামে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। গতকাল রাত ১১টার পর ইডি অফিস থেকে বেরোন তাপস মণ্ডল। তবে ফের তাঁকে আজ তলব করেছে ইডি। তাঁর পাশাপাশি বুধবার ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃমমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
তাপস মণ্ডলের মুখ থেকেই হুগলির তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষের সন্ধান পায় ইডি। চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৯ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন কুন্তল, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। এরপর কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে অসহযোগিতার জন্য গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে।
আরও পড়ুন- খুনে আটক ঘনিষ্ঠ, পুলিশকে ‘২ টাকার চাকর-ছোটোলোক’ বললেন তৃণমূল বিধায়ক
কুন্তলের নামে শুরু থেকেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ করছিলেন তাপস মণ্ডল। মঙ্গলবার তাপস মণ্ডলকে কুন্তলের সামনে বসিয়ে জেরা চলে। সূত্রের খবর সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দফায়-দফায় জেরায কুন্তলও নাকি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকী সূত্রের আরও খবর, গতকাল মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে কুন্তল নাকি বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তাপস মণ্ডলের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- খুনে আটক ঘনিষ্ঠ, পুলিশকে ‘২ টাকার চাকর-ছোটোলোক’ বললেন তৃণমূল বিধায়ক
ইডির অফিসাররা কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে গতকাল টানা বারো ঘণ্টা ধরে ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ চললেও আজ ফের তাপস মণ্ডলকে ডেক পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বুধবার তাপস মণ্ডলের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কুন্তলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। এই দু'জনকেও কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- ক্লান্ত ‘দিদির দূত’ অসিত মজুমদার, পঞ্চায়েত সদস্যাকে দিয়ে পা টেপানোর ছবি ভাইরাল
এদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আজ বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'তদন্ত চলছে, তাই এব্যাপারে কোনও কথা বলব না। শুধু এটা বলতে পারি, এটা একটা কন্সপারেসি লাইক আ স্কাই।'