/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/ed-chargesheet.jpg)
Ration Scam-ED Chargesheet: রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি।
Ration Scam-ED Chargesheet: রেশন দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটটি জমা দিতে পারে ইডি। সূত্রের দাবি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সেই চার্জশিটে চমকে দেওয়ার মতো একাধিক তথ্য থাকতে পারে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শংকর আঢ্যদের নিয়ে এমন কিছু তথ্য চার্জশিটে থাকতে পারে যা প্রকাশ্যে এলে লোকসভা ভোটের মুখে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যেতে পারে।
Ration Scam-ED Chargesheet: রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি।
Ration Scam-ED Chargesheet: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে মাথা ফেটেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকের। ৫৬ দিনের মাথায় ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে ED। এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট (Chargesheet) দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সামনের সপ্তাহের মঙ্গলবার চার্জশিট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, শংকর আঢ্য (Shankar Adhya) এবং তার বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার উল্লেখ থাকতে পারে চার্জশিটে। এরই পাশাপাশি শংকর ছাড়াও তার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের নাম চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা আছে। একইসঙ্গে ফরেক্স ছাড়া নাম উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে শংকর ও তার পরিবারের আরও কয়েকটি কোম্পানির।
জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) হাত থেকে কীভাবে শংকরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে তার উল্লেখ থাকবে চার্জশিটে। উল্লেখ থাকবে দুবাইতে (Dubai) যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি করা হয়েছে তার নামও। এর আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman) বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতিতে চার্জশিট দিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন- আকাশভরা স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকায়! বাঙালি নৃত্যশিল্পীর এমন পরিণতি কল্পনাতেও আনেনি পরিবার
এদিকে গ্রেফতার শাহজাহান এখন CID-র তত্ত্বাবধানে আছে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য উঠে আসবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় নাগালের বাইরে থাকায় নথিপত্র কতটা মিলবে তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তবে তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা, ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি আধিকারিকদের বাধা দিয়েছিল তার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ বা নথি সরানোর জন্যই। পরে যখন ইডি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে চালিয়েছিল তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু তদন্তকারীরা মনে করছেন যতই নথিপত্র সরানো হোক অপরাধ করলে কোনও না কোনও প্রমাণ থেকে যাবেই।