Sheikh Shahjahan-ED: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় তাঁর বাড়িতে অভিযানের সময় ED-র আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন একদা দ্বীপাঞ্চলের বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। সূত্রের খবর, তদন্তকারী ইডি আধিকারিকদের কাছে শাহজাহান ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে হামলার রহস্য উদঘাটনে এখনও মরিয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা।
চলতি বছর ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িত তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ED। তখন ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালায় শাহজাহানের অনুগামীরা। হামলা থেকে রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমও। তারপর দীর্ঘ দিন বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গ্রেফতার করে উত্তম সরদার ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে। তারও বেশ কয়েক দিন পরে আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। তারপর CID-র কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সূত্রের খবর, শাহজাহান দুঃখ প্রকাশ করলেও তিনি নাকি হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন।
জেরার সময় এক তদন্তকারী আধিকারিককে একথা বলেছেন শেখ শাজাহান। পাশাপাশি শেখ শাহজাহান আরও দাবি করেছেন, তার বাড়িতে যেদিন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি করতে গিয়েছিল, তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেন না। তাছাড়া ওই মারধর করার নিদানও তিনি দেননি বলেই দাবি করছেন। কিন্তু হামলার ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থী তিনি।
আরও পড়ুন- Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ড: খাস বাংলা থেকে NIA-র হাতে গ্রেফতার দুই জঙ্গি!
তবে জেরার সময় শাহজাহানের এই বক্তব্য মানতে নারাজ তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি মনে করছে, যারা সেদিন হামলার নেতৃত্বে ছিল তারা সবাই শাহজাহানের অনুগামী। তাদের বেশ কয়েকজনকে CBI গ্রেফতার করেছে। যার ইশারা ছাড়া সন্দেশখালির পাতা নড়ে না, সেক্ষেত্রে ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণ অন্য কারও নির্দেশে হয়েছে বলে মনে করছেন না তদন্তকারীরা।
তবে ওই হামলার আগে শাহজাহান কার কার সঙ্গে আলোচনা করেছেন সেদিকে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এদিকে শুক্রবার শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী আসে ইডি দফতরে। ইডি সূত্রের খবর, এই মাছ ব্যবসায়ীদের তলব করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথি নিয়ে এদিন তারা ইডি দফতরে নিয়ে আসে। মাছ ব্যবসা সংক্রান্ত ও লেনদেনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল তাদের। জানা গিয়েছে, একইসঙ্গে তাঁদের সেই সব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।