এই প্রথম ইডি দফতরে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। নির্ধারিত সময়েই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির দফতরে হাজিরা দেন নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে আসা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, সুজয়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে ইডির তদন্তকারীদের। তারই ভিত্তিতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম শোনা গিয়েছিল। এর আগে গত ২০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছিল ইডি।
আরও পড়ুন- গরু চুরির অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র ধানতলা, কিশোরের মৃত্যু, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
বহু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যোগ রয়েছ এমন বেশ কয়েকটি অফিসে হানা দিয়েও বহু নথি হাতে এসেছিল ইডির আধিকারিকদের। ইডির একটি সূত্রের দাবি, একাধিক সংস্থার মাধ্যমে চাকরির নামে বাজার থেকে তোলা কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার জন্যই বিভিন্ন সংস্থা খোলা হয়েছিল।
সূত্রের আরও দাবি, সেব্যাপারে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেই বিষয়গুলি নিয়েই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবার সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। তবে এর আগে দুই পর্বে সিবিআই ডেকেছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। একবার সিবিআই অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। গত ৪ মে সুজয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময়ে তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।