সায়গলকে নিয়ে রাজধানীতে ইডি। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মেলার পরপরই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সায়গলকে দিল্লিতে সাত দিন পর্যন্ত রেখে জেরা করতে পারবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জেরার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে পারবেন সায়গল হোসেনের আইনজীবীও।
গরু পাচার মামলায় সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ইডির বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেন সায়গলের আইনজীবী। যদিও আদালত সায়গলের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল। হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পাননি সায়গল।
আরও পড়ুন- ‘বিরোধিতাটাই ভালো করে বামেরা, সরকার চালাতে পারে না’, কটাক্ষ দিলীপের
শীর্ষ আদালতের ছাড়পত্র মেলার পরেই সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করা হয়। সেই মতো শনিবার দিল্লিতে সায়গলকে জেরা করবে ইডি। জানা গিয়েছে, জেরার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে পারবেন সায়গল হোসনের আইনজীবী। আদালত জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে তাঁর আইনজীবীকে থাকতে হবে, যাতে তিনি জেরার কথোপকথন শুনতে না পান। ইডি দিল্লিতে সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত রাখতে পারবে সায়গলকে। এই সময়ের মধ্যেই তাদের যা জানার জানতে হবে।
আরও পড়ুন- আলোর উৎসব ভেস্তে দিতে চোখ রাঙাচ্ছে সিত্রাং, জেলায়-জেলায় সাইক্লোন-অ্যালার্ট
দিল্লিতে জেরা পর্ব মিটলে ফের আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরেয়ে নিয়ে যেতে হবে সায়গল হোসেনকে। দিল্লিত তাকে পাকাপাকি রেখে দেওয়া যাবে না। আদালতের একাধিক নির্দেশনামা নিয়ে শনিবার থেকে রাজধানীতে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে জেরা। সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও কলকাতা শহরেও সায়গলের সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে কীভাবে কোটি-কোটি টাকার এই সম্পত্তির মালিক হলেন সায়গল? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।