নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা, আমলাকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেশিরভাগই জেলবন্দি। এবার একাধিক লো প্রোফাইল ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছেন ইডিকে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক নিজেই ৬ হাজার পাতার নথির কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, ওই নথিকে ভিত্তি করেই এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে। রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির সঙ্গে এই মুহূর্তে শিক্ষা ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেও জোর দিয়েছে ইডি।
এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা ও মাকে তলব করেছিল ইডি। তখন তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে হাজির হননি। জানা গিয়েছে, ফের তলব করা হলেও ইডি দফতরে যাননি তাঁরা। পাশাপাশি কেন হাজির হননি সে বিষয়েও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানানো হয়নি বলেই খবর। সেই তদন্ত আরও জোরদার হবে বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। একইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের একাধিক প্রাক্তন শীর্ষকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার তথ্য জানতে লো প্রোফাইল ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।
আরও পড়ুন- খেল শুরু ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র, তাণ্ডব বইয়ে জোরালো দুর্যোগ? তুমুল বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?
গত কয়েকদিন ধরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে বেশ কয়েকজন লো প্রোফাইল ব্যক্তিকে তলব করা হয়। এই ব্যক্তিরা সেভাবে সমাজে পরিচিত নন। তবে এঁদের কাছে নানা অজানা ক্লু রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬ হাজার পাতার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে ইডি। তারপর সেখান থেকে নির্যাস বের করছে।
সেই নথির ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, এই লো প্রোফাইল ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদেই তদন্তে নতুন মোড় আসতে পারে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগামী দিনে তদন্তে বড় কোনও পদক্ষেপের ঘটনা ঘটে কিনা সেদিকেই নজর রয়েছে অভিজ্ঞ মহলের।