Educational qualification of 42 MPs elected from west bengal: রবিবার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। বাংলা থেকে ৪২ জন নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছেন ২৯ জন। কংগ্রেসের দুই থেকে কমে এবার বাংলা থেকে একজন সাংসদ দিল্লি গিয়েছেন। বিজেপিরও আসন কমে তাঁদের এই রাজ্য থেকে সাংসদ প্রতিনিধি এখন দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। তাঁদের মধ্যে দু'জনকে কেন্দ্রের মন্ত্রী করেছেন মোদী-শাহরা। বাংলা থেকে মন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই রাজ্যের ৪২ জন সাংসদ সংসদে সোচ্চার হবেন বাংলার উন্নয়ন নিয়ে। এই সাংসদদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? কোথা থেকে তাঁরা পড়াশোনা করেছেন? বাংলার বাইরে, এমনকী কেউ কেউ বিদেশ থেকেও পড়াশোনা করেছেন। তাঁরা নির্বাচনে সরকারি হলফনামা দাখিল করেছেন, তাতে উল্লেখ করেছেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক বাংলার নির্বাচিত ৪২ জন সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা।
১. আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ বছর ৫১-র মনোজ টিগ্গা। তিনি জলপাইগুড়ি এসি কলেজ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৬ সালে বিএসসি(বায়ো) পাশ করেছেন।
২. আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। বছর ৪৭-এর মিতালি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে। এডুকেশনে স্নাতক বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ২০১১তে।
৩. আসানসোলের দ্বিতীয়বার জয়ী তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বয়স ৭৭। তিনি ১৯৬৭ সালে পুনে ফিল্ম ও টেলিভিসন ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক।
৪. বহরমপুরের এবার জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ৪১ বছরের পাঠান একাদশ শ্রেণী পাস এমইএস হাইস্কুল, ভদোদরা গুজরাট থেকে।
৫. বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বয়স ৪৪। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৬-এ এমএসসি, ২০১৮-তে পিএইচডি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
৬. বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বয়স ৪২। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ২০০৫ সালে। আবার ২০১৫ সালে কলা বিভাগে স্নাতক কর্নাটক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কোন বিষয়ে তা লেখা হয়নি। তাছাড়া অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ক্যারিক ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন সিডনি অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সালে।
আরও পড়ুন- BJP: বঙ্গে BJP-র খারাপ পারফর্ম্যান্সের কারণ কী? মুখ খুলতে শুরু করেছেন বসে যাওয়া নেতারা
৭. বাঁকুড়া থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর ৬৮ বয়স। তিনি বিএ, এলএলবি করেছেন রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে।
৮. বারাসতে তৃণমূল কংগ্রেসের চার বারের সাংসদ ৬৫ বছর বয়সী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এমবিবিএস ১৯৮৪ সালে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ থেকে। পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিং অফ আল্ট্রা সাউন্ড করেছেন কিংস কলেজ হসপিটাল মেডিক্যাল স্কুল লন্ডন ১৯৮৭ সালে।
৯. বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ বছর ৪৫-এর শর্মিলা সরকার। ডক্টর অব মেডিসিন ইন সাইকিয়াট্রি, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্স থেকে ২০০৮ সালে।
১০. বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, ৬৫। ইতিহাসে বিএ অনার্স সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ, নিউ দিল্লি ১৯৮১।
১১. ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক ৬০ বছর বয়স। এম.কম ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬-৮৭ সাল।
১২. বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম, বয়স ৬১। আলিম পাস করেছেন খারকি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৭ সালে।
১৩. বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বয়স ৫৫। যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক ১৯৯২ সালে।
১৪. বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বয়স ৪৩। ১৯৯৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস।
১৫. বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত কুমার মাল, বয়স ৬৯। ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স ফ্রম রামপুরহাট কলেজ(১৮৭৪) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
১৬. কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া, বয়স ৬০। দিনহাটা কলেজ থেকে স্নাতক ১৯৮৩-তে। ফিজিক্যাল এডুকেশনে স্নাতক এসজিবি অমরাবতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
১৭. দার্জিলিং থেকে বিজয়ী বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, বয়স ৩৮। কলা বিভাগে স্নাতক মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪-২০৭ সালে।
১৮. ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩৬ বছর বয়স। বিবিএ ও এমবিএ করেছেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, নিউদিল্লি ২০০৯ সালে।
১৯. দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, বয়স ৭৬। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি। ব্যাচেলর অব ল, যোগেশ চন্দ্র ল কলেজ থেকে ১৯৮২-এ।
২০. ঘাটাল থেকে তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী, বয়স ৪১। ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার টেকনোলজি। ভারতীয় বিদ্যাপীঠ ২০০৩।
২১. হুগলির তৃণমূল সাংসদ ৫১ বছর বয়সী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্চমাধ্যমিক পাস, ন্যাশানাল গার্লস হাইস্কুল থেকে ১৯৯২ সালে।
২২. হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বয়স ৬৯। বিএসসি কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে।
২৩. যাদবপুরে বিজয়ী তৃণমূল সাংসদ ৩১ বছরের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। উচ্চমাধ্যমিক (আইএসসি) পাস হীরেন্দ্র লীলা পত্রনবীস হাইস্কুল থেকে ২০১১ সালে।
২৪. ড. জয়ন্ত রায় জলপাইগুড়ির নির্বাচিত সাংসদ। বয়স ৫৬। ডক্টর অব মেডিসিন (কমিউনিটি মেডিসিন)ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্স। সাল ২০১০।
২৫. জঙ্গিপুরের জয়ী ৬৪ বছরের তৃণমূলের সংসদ খলিলুর রহমান। ১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে স্নাতক।
২৬. ঝাড়গ্রাম থেকে এবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ৬৬ বছরের কালীপদ সোরেন। ১৯৮৪ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ।
২৭. জয়নগর থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মন্ডল। ইতিহাসে এম.এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে। ১৯৮৯ সালে বিএড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বয়স ৫৮।
২৮. কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। বয়স ৪১। ২০১০ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ।
২৯. দক্ষিণ কলকাতা থেকে ফের জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ৬৬ বছরের মালা রায়। ১৯৭৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ।
৩০. ৭৬ বছরের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে ফের তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। ১৯৭০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি।
৩১. কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। ৪৯ বছর বয়স। ব্যাচেলর অফ আর্টস ( অংক ও অর্থনীতি), ১৯৯৮-তে ম্যাসাচুসেটস আমেরিকার কলেজ থেকে।
৩২. মালদা দক্ষিণ আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। ৫৩ বয়স। বিএ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৬।
৩৩. মালদা উত্তরে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। বয়স ৬৪। পাটনার আরএলএসজে কলজে থেকে বিএ পাস। ১৯৮৯ সালে।
৩৪. মথুরাপুর থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। বয়স ৩৭ বছর। বিএ পাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে।
৩৫.মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ ৫৪ বছরের অভিনেত্রী জুন মালিয়া। ১৯৯৮ সালে সেকেন্ডারি স্কুল এক্সামিনেশন সিবিএসসি, ওপেন স্কুল থেকে পাস।
৩৬. মুর্শিদাবাদের জয়ী তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান, ৬২ বছর। ১৯৮০ সালে মাধ্যমিক পাস হরেকনগর অব্দুল মোমেন ইন্সটিটিউশন থেকে।
আরও পড়ুন- Digha: এখবরে ভ্রমণপিপাসুদের মনে সুনামি বইবে! মাত্র ৪৫ টাকায় হাওড়া থেকে দিঘা, কীভাবে? জানুন ঝটপট
৩৭. পুরুলিয়া থেকে ফের জয় পেয়েছেন ৩৯ বছরের জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সম্বলপুরের রাউরকেলা 'ল কলেজ থেকে এলএলবি ২০১২-তে।
৩৮.কার্তিক চন্দ্র পাল ৪৯ বছর বয়স, রায়গঞ্জের নির্বাচিত সাংসদ। কালিয়াগঞ্জ কলেজ থেকে ১৯৯৪ সালে বিকম পাস।
৩৯. রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ ৬১ বছরের জগন্নাথ সরকার। ১৯৮৪ সালে শান্তিপুর কলেজ থেকে বিএ পাস ও ১৯৮৬-৮৭ সালে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্যাল এডুকেশনে স্নাতক।
৪০. কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বয়স ৬৭ বছর, শ্রীরামপুর থেকে তৃণমূলের সাংসদ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকম পাস ১৯৭২-৭৫ সালে। ১৯৭৬-৭৯ সালে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি।
৪১. তমলুক থেকে বিজেপি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ৬১ বছরের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি।
৪২. উলুবেড়িয়া থেকে তৃণমূলের নির্বাচিত সাংসদ সাজদা আহমেদ। বয়স ৬২। ১৯৮৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন।