Bangladesh Crisis: শেখ হাসিনা গুদিচ্যুত হওয়ার পরেও হিংসাত্মক পরিবেশ থামছেই না বাংলাদেশে। দিকে দিকে সংঘর্ষ, আগুন, খুন, লুঠতরাজ চলছেই। ঠিক এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এখনও আটকে রয়েছে ভারতের ৭২৪টি ট্রাক। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে এখনও আটকে রয়েছেন ভারতের বহু গাড়িচালক। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিরাট ধাক্কা এসেছে বনগাঁর পেট্রাপোলে সীমান্ত বাণিজ্যে।
ভারতের বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ওপার বাংলা থেকে যেমন মালপত্র আসে এদেশে, তেমনই বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত হয়েও এপারে শ'য়ে শ'য়ে ট্রাকে ঢোকে সে দেশের জিনিসপত্র। ফি দিন গড়ে শুধু বনগাঁর এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েই ১১০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।
এদেশ থেকে শ'য়ে শ'য়ে ট্রাক প্রতিদিন বাংলাদেশে ঢোকে। বাংলাদেশের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমানে সেখানে আটকে গিয়েছেন ভারতের বহু ট্রাক চালক। জোরদার তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই ফিরেছেন বহু চালক। তবে এখনও আটকেও রয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- Suvendu Adhikari: ‘মাও এক কাপড়ে বরিশাল থেকে চলে এসেছিলেন’, শাহী-সাক্ষাতে আবেগপ্রবণ শুভেন্দু!
পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংস্থার সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, "এখনও ভারতের ৭২৪টি ট্রাক বাংলাদেশে আটকে রয়েছে। মাল খালাস হোক না হোক সবাইকেই ওখান থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াইশোজন গাড়িচালক ফিরেছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যগুলির ১০৪ জন চালক বাংলাদেশে আটকে গিয়েছেন। তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার সব রকমের চেষ্টা চলছে।"
আরও পড়ুন- Sheikh Hasina: কোন সহজ কাজেই ব্রিটেনে আশ্রয় পেতেন শেখ হাসিনা? স্পষ্ট করল সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
কার্তিক চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বেনাপোলে মোট ৪২টি গোডাউন রয়েছে। সেই অধিকাংশ গোডাউনে গত কয়েকদিনে পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। তবে সেসব চিন্তা এখন আর করছেন না তাঁরা। যে কোনওভাবে ট্রাকচালকদের আজকের মধ্যেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে অন্যান্য দিনের মত আজও পেট্রাপোল সীমান্ত খোলা ছিল। এদিন বনগাঁরই সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল বাংলাদেশের লোকজন ভিসা-পাসপোর্ট দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে সে দেশে ঢুকছেন। একইভাবে বাংলাদেশ থেকেও অনেকে ব্যবসার কাজে কেউ কেউ আবার চিকিৎসা করাতে ভারতে প্রবেশ করছেন। তবে ভারত থেকে এখন কাউকেই এখন বাংলাদেশে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে BSF। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি আজ গিয়েছিলেন বনগাঁ সীমান্তে। সেখানে কর্তব্যরত বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। জানা গিয়েছে, একদিকে যেমন বনগাঁ সীমান্তে কড়াকড়ি করা হয়েছে তেমনই দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, মালদার মহদিপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সীমান্ত বাণিজ্যেও। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তা আর্থিক দিক দিয়ে দু'দেশের পক্ষেই যথেষ্ট ক্ষতির হতে পারে।